1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্বৈরতন্ত্রের পথে মালদ্বীপ?

৯ মার্চ ২০১৬

৩০ বছরের স্বৈরশাসনের অবসানে মালদ্বীপের গণতন্ত্রকামী মানুষ যে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন, তা ৮ বছরের মধ্যেই প্রশ্নবিদ্ধ৷ গণতন্ত্রের শৈশবেই দ্বীপদেশটিতে স্বৈরতন্ত্রের আশঙ্কা আবার প্রকট হতে শুরু করেছে৷

https://p.dw.com/p/1I9l8
Malediven Präsident Abdulla Yameen verhängt Notstand
ছবি: picture-alliance/AP Photo

দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপদেশ মালদ্বীপ অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য সবসময়ই পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়৷ সে আকর্ষণে প্রতিবছর বিশ্বের প্রায় সব প্রান্ত থেকেই অজস্র পর্যটক যান ভারত মহাসাগরের নীল জলে ঘেরা ১২০০ প্রবালদ্বীপের এই দেশটিতে৷ মালদ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যিই হৃদয়গ্রাহী৷

একাধারে ৩০ বছর স্বৈরশাসনে ছিল মালদ্বীপ৷ ২০০৮ সালে সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের সূচনা হওয়ায় প্রবালদ্বীপের দেশটিতে গণতন্ত্রের যাত্রা দীর্ঘ হবে এমন আশাই করেছিলেন বিশ্লেষকরা৷ কিন্তু নির্বাচনের মাধ্যমে মামুন আবদুল গাইয়ুমের স্বৈরশাসনের অবসান হলেও দেশে গণতন্ত্রের মুক্ত হাওয়া বেশিদিন পায়নি মালদ্বীপ৷ নির্বাচনে জয়ী হয়ে মোহাম্মদ নাশিদ ক্ষমতা পেলেও ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধই ছিল তাঁর শাসন কাল৷ আন্দোলনের মুখেই সরে যেতে হয় তাঁকে৷ সেই থেকে মালদ্বীপও যেন ফিরে যেতে থাকে প্রচ্ছন্ন স্বৈরতন্ত্রের দিকে৷

২০০৮ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন মোহাম্মদ নাশিদ৷ শাসনামলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ ওঠে৷ ওই সময় বিচারভাগ এবং আমলাতন্ত্রের সঙ্গে তাঁর সরকারের বিরোধও চরমে উঠেছিল৷ শেষ পর্যন্ত গণবিক্ষোভের মুখেই সরে যেতে হয় নাশিদকে৷ ২০১৩-র নির্বাচনে তিনি হেরে যান সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আবদুল গাইয়ুমের সৎভাই ইয়ামিন আবদুল গাইয়ুমের কাছে৷ নির্বাচনের প্রথম পর্বে অবশ্য নাশিদই এগিয়েছিলেন৷ কিন্তু বিতর্কিত দ্বিতীয় পর্বে জিতে মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট হন ইয়ামিন আবদুল গাইয়ুম৷

কিন্তু তাঁর শাসনামলে বিরোধীদের মত প্রকাশের সুযোগ আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে৷ সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ এখন কারাগারে৷ ১৩ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে তাঁর৷ দু'জন সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্টসহ আরো বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধেও কারাদণ্ড ঘোষণা করেছে আদালত৷ এ সব মামলায় অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনের পর্যাপ্ত সুযোগ দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে৷ মালদ্বীপে জনসভাও এখন নিষিদ্ধ৷

সব মিলিয়ে দেশটিতে এখন স্বৈরাশাসনেরই আলামত দেখছেন বিশ্লেষকরা৷

মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষক আব্বাস ফয়েজ মনে করেন, ‘‘ক্ষমতাসীন দল যদি বিরোধী দলগুলোকে ঠিকভাবে কাজ করতে না দেয় তাহলে গণতন্ত্র আবার বিপন্ন হবে৷''

তবে ইয়ামিন আবদুল গাইয়ুমের সরকার মনে করে দেশে স্বৈরতন্ত্র প্রত্যাবর্তনের আশঙ্কাটা পুরোপুরি অমূলক৷ সরকারের মুখপাত্র ইব্রাহিম হোসেন শিহাব বললেন, ‘‘মালদ্বীপের গণতন্ত্র একেবারেই নবীন৷ তবে আমাদের শাসনতন্ত্র খুব উদার৷ গণতন্ত্রে যে সমস্যাগুলো দেখা যাচ্ছে সেসব কাটিয়ে ওঠার জন্য সবার সহযোগিতা দরকার৷'' এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজন আছে বলেও মনে করেন তিনি৷

Islamist surge threatens Maldives tourism industry

এসিবি/ডিজি (এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য