1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্মার্টফোন, টিভি ভুটানের জন্য কাল!

১২ আগস্ট ২০১৩

বিষয়টা সত্য ভুটানের মঠ ব্যবস্থা তথা বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতাদের জন্য৷ একটা সময় ছিল যখন তাঁরা সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন৷ কিন্তু টেলিভিশন, স্মার্টফোন সহ আধুনিক সব প্রযুক্তির আবির্ভাবে দিন দিন তাঁদের প্রভাব কমে যাচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/19NrA
ছবি: DW/C. Chimbelu

এইতো কিছুদিন আগে, ১৯৯৯ সালে ভুটানে টেলিভিশনের আবির্ভাব ঘটে৷ এরপর থেকে সেখানকার সমাজে বিশেষ পরিবর্তন এসেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷ যেমন ভুটানের ইতিহাস বিষয়ক বইয়ের লেখক ও সাবেক বৌদ্ধ ভিক্ষু কর্ম ফুনৎসো বলছেন, ‘‘মানুষ এখন বিধাতাকে কম ভয় পায়, ধর্মীয় রীতি পালনের বিষয়টিও দিনদিন কমে যাচ্ছে৷'' অবশ্য তাঁর মতে পরিবর্তনের শুরু ষাটের দশকে, যখন থেকে স্কুলগুলোতে ধর্ম নিরপেক্ষ শিক্ষার চল আরম্ভ হয়েছে৷

ফুনৎসোর সঙ্গে একমত পোষণ করলেন কেঞ্চো শেরিং, যিনি রাজধানী থিম্পুতে অবস্থিত মঠ পরিচালিত একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং ভিক্ষু৷ তিনি বলছেন, ‘‘ভুটানে পরিবর্তন ঘটছে৷ মঠ ব্যবস্থার প্রভাব দিনদিন কমে যাচ্ছে৷ এখন সমাজে ঊর্ধ্বতন ভিক্ষুরাও যথাযথ সম্মান পান না৷''

টিভি ছাড়াও হালের স্মার্টফোন আকৃষ্ট করছে ভুটানি তরুণদের৷ তারা স্মার্টফোন দিয়ে বিভিন্ন গেমস খেলার প্রতি উৎসাহী হয়ে উঠছে৷ এর ফলে এক সময় সরল মনের অধিকারী বলে পরিচিতি ভুটানিরা নিজের অজান্তেই মনের মধ্যে নানারকম সমস্যার জন্ম দিচ্ছে, বলে মনে করেন মনোবিজ্ঞানী নিরোলা৷

তবে প্রযুক্তি যে শুধু বৌদ্ধ সংস্কৃতির জন্য সমস্যাই বয়ে আনছে তা নয়৷ কেউ কেউ এই প্রযুক্তির ক্ষমতা নিজেদের পক্ষে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে৷ যেমন ‘ফাজোডিং মনাস্টারি' ফেসবুক আর টুইটার ব্যবহার করে তাদের খবর প্রচার করা ছাড়াও তহবিল সংগ্রহের কাজে নেমেছে৷

জেডএইচ / এসবি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য