1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফার্গুসনের আত্মজীবনী

২৪ অক্টোবর ২০১৩

যে মানুষটাকে ফুটবল জগৎ একডাকে চেনে, যিনি ২৬ বছরের বেশি সময় ধরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যানেজার ছিলেন, সেই স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন ৭১ বছর বয়সে তাঁর নতুন আত্মজীবনী প্রকাশ করেছেন৷

https://p.dw.com/p/1A57a
ছবি: picture-alliance/dpa

গত মঙ্গলবারের খবর : প্রকাশিত হয়েছে স্যার অ্যালেক্সের ‘‘মাই অটোবায়োগ্রাফি'', যদিও এটা ঠিক তাঁর ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত প্রথম আত্মজীবনী ‘‘ম্যানেজিং মাই লাইফ''-এর সিকোয়েল নয়৷ এই নতুন আত্মজীবনীতে ডেভিড বেকহ্যাম, ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো কিংবা ওয়েন রুনি'র মতো বিশ্বখ্যাত খেলোয়াড়দের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের ব্যাপারে খোলাখুলি আলোচনা করেছেন স্যার অ্যালেক্স৷ তার মধ্যে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর খবরটি হলো - অবশ্য স্যার অ্যালেক্স না বললে এটা যে দুনিয়ার অজানাই থেকে যেতো, এমন নয় - যাই হোক, ফার্গুসন লিখেছেন: বেকহ্যাম নাকি ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে শেষের দিকে বড় বেশি খ্যাতি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন৷

ফার্গুসন লিখেছেন, বেকহ্যাম হলো ‘‘আমার ম্যানেজার জীবনের একমাত্র খেলোয়াড়, যে বিখ্যাত হবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ফুটবলের বাইরে বিখ্যাত হওয়াটা যার কাছে জীবনের লক্ষ্য হয়ে উঠেছিল''৷ ফার্গুসন নাকি ২০০৩ সালের একটি ঘটনার পর বেকহ্যামকে রেয়াল মাদ্রিদের কাছে বেচে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন৷ সে'বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ম্যান ইউ এফএ কাপে আর্সেনালের কাছে হারার পর যখন স্যার অ্যালেক্স আর বেকহ্যামের মধ্যে তর্ক চলেছে, তখন কি করে জানা নেই একটি ফুটবল বুট স্যার অ্যালেক্সের কিকে সোজাসুজি বেকহ্যামের মুখে গিয়ে লাগে৷

Bildergalerie Sir Alex Ferguson
ছবি: Getty Images

‘‘পরের দিন সে কাহিনি তো সব কাগজে৷ মুখে ব্যান্ডেইড লাগানো বেকহ্যামের ছবি... সেই সময় আমি (ক্লাবের) পরিচালক বোর্ডকে বলি, ডেভিড'কে যেতে হবে৷ যে মুহূর্তে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোনো প্লেয়ার মনে করবে যে সে ম্যানেজারের চেয়ে বড়, সেই মুহূর্তে তাকে যেতে হবে৷ সেটাই ছিল (বেকহ্যামের) মরণের ডঙ্কা৷'' রাগী স্কটসম্যান স্যার আলেক্স মঙ্গলবার একটি সাংবাদিক সম্মেলনে আরো খোলসা করে বলেন, স্পাইস গার্লস গোষ্ঠীর গায়িকা ভিক্টোরিয়া অ্যাডাম্স'কে ১৯৯৯ সালে বিয়ে করার পর বেকহ্যামের ফোকাসই বদলে যায়৷ ‘‘আমার পক্ষে বড় সমস্যা ছিল এই যে, (ডেভিড) ভিক্টোরিয়ার প্রেমে পড়ে যায়৷ তার পরই সব কিছু বদলে যায়৷''

ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে রেয়াল মাদ্রিদে গিয়েছেন ২০০৯ সালে৷ তাঁর সম্পর্কে স্যার অ্যালেক্সের বক্তব্য: ‘‘আমার তত্ত্বাবধানে যারা খেলেছে, তাদের মধ্যে সবচেয়ে প্রতিভাধর প্লেয়ার''৷ রোনাল্ডো'কে প্রথমবার খেলতে দেখাটা নাকি ছিল তাঁর ‘‘ম্যানেজারি জীবনের সবচেয়ে বড় রোমাঞ্চকর মুহূর্ত''৷

অপরদিকে স্যার অ্যালেক্স ফুটবল কোচিং'এর কিংবদন্তি হলেও, নশ্বর মানুষ তো বটেন৷ কাজেই তাঁরও ভুলচুক হতে পারে, স্যার অ্যালেক্স সেটা স্বীকার করুন আর নাই করুন৷ ২০১০ সালের ঘটনা৷ সেবারই ফার্গুসন ওয়েন রুনি'কে প্রথমবার ক্লাব ছাড়বার কথা বলেন৷ মেসুৎ ও্যজিল তখন ভ্যার্ডার ব্রেমেন ছেড়ে রেয়াল মাদ্রিদে যাচ্ছেন৷ রুনি নাকি ফার্গুসন'কে বলেছিলেন, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ওয়েজিল'কে আনার জন্য আরো সচেষ্ট হওয়া উচিত ছিল৷ ফার্গুসন লিখেছেন: ‘‘আমার উত্তর ছিল, আমাদের কা'কে আনবার চেষ্টা করা উচিত ছিল না ছিল, তা' নিয়ে তার মাথা ঘামানোর দরকার নেই৷ আমি ও'কে বলেছিলাম, ওর কাজ হলো খেলা এবং ভালো খেলা৷''

এসি / জেডএইচ (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য