1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হংকংয়ের পাশে ক্যানাডা, অখুশি চীন

১৩ নভেম্বর ২০২০

চীন হংকংয়ের উপর যত চাপ বাড়াচ্ছে, ততই হংকংকে সাহায্যের আশ্বাস দিচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র। ক্যানাডাও সে কথা জানিয়ে দিলো।

https://p.dw.com/p/3lDwO
ছবি: Blair Gable/Reuters

হংকংয়ের যুবসমাজের জন্য দরজা খুলে দিল ক্যানাডা। বৃহস্পতিবার ক্যানাডা জানিয়ে দিল হাই স্কুলের পাঠ শেষ করেই ক্যানাডায় চলে যেতে পারে হংকংয়ের ছেলেমেয়েরা। সেখানে তাদের চাকরির সুযোগ যেমন থাকবে, থাকবে আরো পড়াশোনা করার ব্যবস্থাও।

হংকংনিয়ে চীনের নীতিকে পছন্দ করছে না বহু দেশ। এর আগে প্রকাশ্যেই এর নিন্দা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অ্যামেরিকা। কিন্তু হংকং নিয়ে নিজেদের অবস্থান বদলায়নি বেজিং। বরং হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থীদের উপর চাপ আরো বাড়ানো হয়েছে। বুধবার আইনসভার চার গণতন্ত্রপন্থী সদস্যকে বিনা নোটিসে বরখাস্ত করা হয়। জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আদালতে যাওয়ার সুযোগটুকুও তাঁরা পাননি। এরই প্রতিবাদে হংকংয়ের সমস্ত গণতন্ত্রপন্থী আইনসভার সদস্য একসঙ্গে পদত্যাগপত্র পেশ করেন। তাঁরা জানিয়ে দেন, আইনসভায় আর তাঁরা থাকবেন না। রাস্তায় নেমে তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করবেন।

বেজিংহংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থীদের এই আচরণের নিন্দা করেছে। বেজিংয়ের বক্তব্য, এ ভাবে দেশের আইন হাতে তুলে নিচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। কিন্তু বেজিংয়ের এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে যুক্তরাজ্য। এক সময় হংকং ছিল ব্রিটিশ উপনিবেশ। কয়েক দশক আগে তা চীনের হাতে চুক্তির মাধ্যমে তুলে দেওয়া হয়। সেই চুক্তিতে হংকংয়ের অধিকারের বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু বক্তব্য ছিল। যুক্তরাজ্যের দাবি, চীন সেই চুক্তি মানছে না। যে ভাবে হংকংয়ে বেজিং নতুন নতুন আইন প্রণয়ন করছে, তা চুক্তির বিরোধী। গণতন্ত্রপন্থীদের সঙ্গে সেখানে যে আচরণ করা হচ্ছে, তারও নিন্দা করেছে যুক্তরাজ্য।

ক্যানাডা অবশ্য মুখে কোনো নিন্দা করেনি। তারা সরাসরি হংকংয়ের ছাত্রদের জন্য দরজা খুলে দিয়েছে নিজের দেশের। এর ফলে ক্যানাডার সঙ্গে চীনের সম্পর্ক আরো খারাপ হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ক্যানাডার শরণার্থী বিষয়ক মন্ত্রী মার্কো মেনডিসিনো টুইট করে তাঁর প্রস্তাব সকলকে জানিয়েছেন।

হংকংয়ের জন্য ক্যানাডার এই প্রস্তাব স্বাভাবিক ভাবেই চীন ভালো চোখে দেখবে না। এর আগেও বিভিন্ন বিষয়ে চীনের সঙ্গে ক্যানাডার দূরত্ব তৈরি হয়েছে। হংকং এবং তাইওয়ান প্রসঙ্গে আগেও ক্যানাডা বিরূপ মন্তব্য করেছে। তবে বৃহস্পতিবারের ঘোষণা অন্য মাত্রা পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স)