1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হংকং ছাড়তে চান অনেক বাসিন্দা

২৯ মে ২০২০

হংকংয়ে আরো বেশি গণতন্ত্রের দাবিতে কয়েকমাস ধরে আন্দোলন চলছে৷ এর মধ্যে বৃহস্পতিবার হংকংয়ের জন্য একটি আইন তৈরির প্রস্তাব পাস করেছে চীন৷ জার্মানি এই উদ্যোগের সমালোচনা করেছে৷

https://p.dw.com/p/3cxL4
Hongkong Protest gegen China | Flughafen - Demonstration & Lahmlegung Flugverkehr
ছবি: Reuters/T. Siu

আগামী বছরের শুরু থেকে হংকংয়ে এই আইন কার্যকর করতে চায় চীন৷ এই আইনে বিচ্ছিন্নতাবাদ, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক তৎপরতা চালানো, সন্ত্রাসবাদ ও হংকংয়ের জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে এমন কাজের জন্য শাস্তির বিধান রাখা হবে৷ 

হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনকারীরা আশঙ্কা করছেন, এই আইন হংকংয়ের উপর বেইজিংয়ের ক্ষমতা আরো বাড়াবে৷

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস এই আইন প্রণয়ন পরিকল্পনার সমালোচনা করেছেন৷ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, হংকংয়ে ভবিষ্যতে ‘বাক ও একত্রে মিলিত হওয়ার স্বাধীনতা' এবং গণতান্ত্রিক বিতর্কচর্চার সুযোগের ‘নিশ্চিয়তা থাকতে হবে'৷ মাস বলেন, ‘‘হংকংয়ের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের ভিত্তি হচ্ছে ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা' নীতি ও আইনের শাসন৷ নিরাপত্তা আইন দিয়ে এসব মৌলিক অধিকারকে প্রশ্নের মুখে ফেলা যাবে না৷''

হংকং ছাড়ার আগ্রহ

আন্দোলন চলার সময় গতবছরের শেষ দুই কোয়ার্টারে হংকংয়ের প্রায় ৫০ হাজার বাসিন্দা অন্য দেশে অভিবাসী হয়েছেন৷ এছাড়া গত ডিসেম্বরে প্রায় ২০ হাজার মানুষ ‘অপরাধের রেকর্ড নেই' এমন কাগজ পেতে পুলিশের কাছে আবেদন করেন৷ যারা অন্য দেশে অভিবাসী হতে চান তাদের এমন কাগজ প্রয়োজন হয়৷ আবেদনের এই সংখ্যা ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি বলে জানা গেছে৷ 

৩০ বছর বয়সি সাংবাদিক জোসেফিন হংকংয়ের আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন৷ এতদিন হংকং ছাড়ার পরিকল্পনা না করলেও এবার নিরাপত্তা আইনের প্রস্তাব পাস হওয়ায় তিনি অভিবাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন৷

চীনা ব্যাংকে কর্মরত চু'ও হংকংয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত৷আন্দোলনেরসময় থেকেই তিনি অভিবাসনের পরিকল্পনা করছিলেন বলে ডয়চে ভেলেকে জানান৷ তবে নিরাপত্তা আইনের প্রস্তাব পাসের পর এখন তিনি এ ব্যাপারে আরো নিশ্চিত হয়েছেন৷ চু বলেন, তিনি চান না তাঁর দুই বছর বয়সি ছেলে ভবিষ্যতে কোনো আন্দোলনে যোগ দেয়ার জন্য পুলিশের নিপীড়নের শিকার হোক৷ ১৯৮৯ সালে তিয়েনআনমেন চত্বরে শিক্ষার্থী ও গণতন্ত্রপন্থিদের উপর নিপীড়নের কথা তিনি ভুলে যাননি বলেও জানিয়েছেন৷ 

এদিকে, অভিবাসী হতে চেয়ে আবেদনের সংখ্যা গত কয়েকদিনে আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে বলে ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছে অভিবাসন নিয়ে কাজ করা হংকংয়ের দুটি সংস্থা৷ 

চিং-ইয়ান লি/জেডএইচ

গত বছরের ডিসেম্বরের ছবিঘরটি দেখুন...