1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এবার হাতের নাগালে মহাকাশযাত্রা

৯ জুলাই ২০১৮

মহাকাশে ছুটি কাটাতে চান? ২০২১ সালে সেখানে এক হোটেল তৈরি হবার কথা৷ বেসরকারি বাণিজ্যিক উদ্যোগের কারণে মহাকাশযাত্রার উপর রাষ্ট্রের একচেটিয়া আধিপত্য কমে চলেছে৷ অন্যদিকে ব্যয়ও কমছে৷

https://p.dw.com/p/313me
Film Kubrick - 2001: Odyssee im Weltraum
ছবি: picture-alliance/Everett Collection

বিশাল মাত্রার পরিকল্পনা৷ চ্যালেঞ্জ তার থেকেও বড়৷ টেসলা কোম্পানির প্রধান এলন মাস্ক মঙ্গলগ্রহে বসতি স্থাপন করতে চান৷ অ্যামাজন-এর প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস মোটা অঙ্কের ভাড়ার বিনিময়ে ‘ব্লু অরিজিন' যানে করে মঙ্গলগ্রহ ও চাঁদে যাত্রী পাঠাতে চান৷ ব্রিটেনের শিল্পপতি রিটার্ড ব্র্যানসন-ও মহাকাশে পর্যটন ব্যবসা চাঙ্গা করে তুলতে চান৷ ২ লক্ষ ডলারের বিনিময়ে তাঁর ‘ভার্জিন গ্যালাকটিক' যানে ৫ মিনিটের জন্য মাধ্যাকর্ষণহীনতার অভিজ্ঞতা অর্জন করা যাবে৷ এ সব স্বপ্ন কি নিছক পাগলামি ও অবাস্তব?

গিডো শ্ভারৎস তা মনে করেন না৷ মহাকাশ বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি সুইজারল্যান্ডে এক মহাকাশ মিউজিয়াম গড়ে তুলতে ব্যস্ত৷ এ সব কি অবাস্তব স্বপ্ন নয়, যে কাজে কোটি কোটি ডলার ঢালা হচ্ছে? গিডো মনে করেন, ‘‘এই সব পরিকল্পনাকে অবশ্যই গুরুত্ব দেওয়া উচিত৷ স্পেসএক্স-এর কথাই ভাবুন৷ ২০০২ সালে ৩০ জন কর্মী নিয়ে এলন মাস্ক এই কোম্পানি খুলেছিলেন৷ ২০০৮ সালেই সফল উৎক্ষেপণ ঘটলো৷ আজ কর্মীসংখ্যা প্রায় ৭,০০০৷ এরই মধ্যে তারা ৪০টি রকেট সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে৷''

গত বছরের মার্চ মাসে স্পেসএক্স প্রথমবার মহাকাশে পুনর্ব্যবহারযোগ্য রকেট পাঠিয়েছিল৷ ফলে এক নতুন যুগের সূচনা হলো৷ এলন মাস্ক রকেটের নীচের দিকটা আবার পৃথিবীতে ফেরত পাঠিয়ে সেটি পুনর্ব্যবহার করছেন৷ ফলে মহাকাশ যাত্রার ব্যয় অনেক কমে যাবে৷

জেফ বেজস ও রিচার্ড ব্র্যানসনের কোম্পানিগুলিও পুনর্ব্যবহারের উপর জোর দিচ্ছে৷ ব্যয়ের হিসেবের দিকে নজর দিলেই তা স্পষ্ট হয়ে যাবে৷

মার্কিন মহাকাশফেরির প্রত্যেক উৎক্ষেপণের ব্যয় ছিল প্রায় ৪৫ কোটি ডলার৷ ২০১১ সালে শেষবারের মতো এই যান মহাকাশযাত্রা করেছিল৷ ইউরোপের ‘আরিয়ানে ৫' রকেট উৎক্ষেপণের জন্য ২২ কোটি ডলার পর্যন্ত ব্যয় হয়৷ অন্যদিকে স্পেসএক্স কোম্পানির ‘ফ্যালকন ৯' রকেট উৎক্ষেপণের ব্যয় ৬ কোটি ২০ লক্ষ ডলার৷

অর্থাৎ ব্যয়ের মাত্রা দুই-তৃতীয়াংশ কম৷ তা সত্ত্বেও রকেট উৎক্ষেপণ অত্যন্ত ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া৷ এলন মাস্ক এই অঙ্ক একশোভাগের এক ভাগে কমিয়ে আনতে চান৷ এই স্বপ্ন বাস্তবসম্মত কিনা, সেটি ভিন্ন বিষয়৷ কিন্তু এই ঘোষণার ফলে অ্যামেরিকা ও ইউরোপের রাষ্ট্রীয় মহাকাশ সংস্থাগুলির উপর অবশ্যই চাপ সৃষ্টি হচ্ছে৷ গিডো শ্ভারৎস বলেন, ‘‘ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা আরিয়ানে ৬ রকেট তৈরির ঘোষণা করেছে৷ একমাত্র নতুন সংস্থাগুলির সস্তার রকেটের কারণেই তারা এই পদক্ষেপ নিচ্ছে৷ আরিয়ানে ৫ যথেষ্ট নির্ভরযোগ্যভাবে কাজ করছে৷ কিন্তু তার আর্থিক ব্যয়ভারের কারণে আরও কম দামের এক রকেট তৈরি করা হয়েছে৷''

এই আর্থিক চাপ সুইজারল্যান্ডেও টের পাওয়া যাচ্ছে৷ সেখানকার প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কোম্পানি রুয়াগ স্পেস আরিয়ানে ৫ ও ৬ মডেলের রকেটের মুখ তৈরি করছে৷ কোম্পানির প্রধান জানালেন, যে আজকাল অর্ডার পেতে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কম মূল্য হাঁকতে হয়৷ কিন্তু মূল্যহ্রাসের ফলে নতুন বাজারও খুলে যাচ্ছে৷ কোম্পানির প্রধান পেটার গুগেনবাখ বলেন, ‘‘অনেক আগে আমরা শুধু ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার মতো শুধু রাষ্ট্রীয় গ্রাহকদের জন্য কাজ করতাম৷ আর আজ বাণিজ্যিক গ্রাহকদের অনুপাত ৫০ শতাংশ পেরিয়ে গেছে৷''

মহাকাশে ছুটি কাটাতে যাবেন? শুনলে কল্পবিজ্ঞান মনে হলেও ২০২১ সালে মহাকাশে প্রথম স্পেস হোটেল গড়ে তোলা হচ্ছে৷

ধনকুবেররা মহাকাশযাত্রার ক্ষেত্র পুরোপুরি বদলে দিয়েছে৷ অতীতে মহাকাশযাত্রার আকাঙ্ক্ষা শুধু রাষ্ট্রীয় স্তরেই সীমাবদ্ধ ছিল৷ আজ তা বেসরকারি কোম্পানিগুলির নাগালে এসে পড়েছে৷

কাটেরিনে টমেন/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান