1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাফিজের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ

হারুন উর রশীদ স্বপন
১৩ অক্টোবর ২০১৯

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে সেনবাহিনীতে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার অভিযোগ এনেছে পুলিশ৷ হাফিজসহ তিন জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা দায়ের করেছে র‌্যাব৷ তবে জামিন পেয়েছেন হাফিজ৷

https://p.dw.com/p/3RDHR
Hafizuddin Ahmed
ছবি: bdnews24.com

মেজর (অব.) হাফিজকে রোববার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন জানায়৷ আর হাফিজের আইনজীবী রিমান্ড আবেদন বাতিল করে জামিনের আবেদন জানান৷ আদালত রিমান্ড আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে জামিন দেন৷

শনিবার রাতে সিংগাপুর থেকে ঢাকায় ফেরার পর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মেজর (অব.) হাফিজকে আটক করে র‌্যাব৷ তবে তার আগে সকালে ঢাকার পল্লবী এলাকা থেকে আটক করা হয় কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ইসহাক মিয়ানকে৷ ইসহাক মিয়ান বিএনপি'র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরপত্তা দলের প্রধান৷

শনিবার দুপুরের পর মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ইসহাক মিয়ানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে জিজিটাল আইনে মামলা হয়৷ আর মুহাম্মদ ইসহাককে শনিবারই সাত দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়৷

জিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৭, ৩১ ও ৩৫ ধারায় মামলাটি দায়ের করেছেন র‌্যাব-৪ এর এস আই মো. আবু সাইদ৷ আর আদালতে প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন এস আই মো. নুরে আলম৷

পুলিশের দায়ের করা এজাহার এবং আদালতে মেজর (অব.) হাফিজের রিমান্ড আবেদনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘‘গত ২ মে ইসহাক মিয়ানের ব্যক্তিগত ইমেইল থেকে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা, র‌্যাব পুলিশসহ অন্যান্য সরকারি বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য আরেকটি ইমেইলে পাঠানো হয়৷ ইসহাক মিয়ান আটক হওয়ার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, মেজর হাফিজ এবং ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেনসহ আরো কয়েকজন এর সঙ্গে জড়িত৷''

আজাদ রহমান

এজাহার এবং পুলিশ প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ‘‘হাফিজসহ অন্যরা ওই ইমেইলের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টায় লিপ্ত ছিলো৷ তারা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সেনাবাহিনীতে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছিল৷''

আদালতের শুনানিতে হাফিজের আইনজীবী বলেন, ‘‘শনিবার কর্নেল (অব.) ইসহাকের রিমান্ড আবেদনের প্রতিবেদন আর একদিন পর মেজর(অব.) হফিজের রিমান্ড আবেদনের প্রতিবেদন একই৷ অথচ তাকে আটক করা হয় রাতে৷ ইসহাকের রিমান্ড আবেদনের সময় হাফিজ ছিলেন দেশের বাইরে বা বিমানে৷ তাহলে একই ফরোয়ার্ডিং হয় কিভাবে? বিমানে থাকা অবস্থায়ই কি তার মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়?''

তাঁর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার বলেন, ‘‘যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন৷ যেই মেইলের কথা বলা হয়েছে, পুলিশ আদালতে সেই ইমেইল উপস্থান করতে পারেনি৷ তাই এটা বানোয়াট অভিযোগ ছাড়া আর কিছুই না৷ আদালত আমাদের যুক্তি গ্রহণ করেছে৷ তাই তাকে রিমান্ডে না দিয়ে জামিন দিয়েছেন৷''

রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আজাদ রহমান বলেন, ‘‘ইমেইল জব্দ করা হয়েছে৷ মামলার জব্দ করা মালামালের সঙ্গে তা আছে৷ এটা আদালতে পাঠানোর বিষয় নয়৷ আমাদের কাছে যে তথ্য-প্রমান আছে তাতে মেজর(অব.) হাফিজ সাবেক সেনা কর্মকর্তা হিসেবে ইমেইলের মাধ্যমে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করেছেন৷ তাকে সহযোগিতা করেছেন কর্নেল(অব.) ইসহাক৷''

জামিনের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘‘আদালত মনে করেছেন তাই জামিন দিয়েছেন৷ এতে প্রমাণিত হয় বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা পুরোপুরি স্বাধীন৷''

মামলার বাদী র‌্যাব-৪ এর এস আই মো. আবু সাইদ দাবি করেন, ‘‘হিরেন মূখার্জি নামের একটি ইমেইলে ইসহাকের মেইলটি পাঠানো হয়৷ ওই ইমেইল আমার কাছে আছে৷ ইসহাক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ব্যারিস্টার সরোয়ার হেসেন এর সাথে জড়িত বলে জানিয়েছেন৷''

মামলার জব্দ তালিকায় একটি ল্যাপটপ, ল্যাপটপের চার্জার, মাউস ও একটি মেবাইল সেটের কথা উল্লেখ আছে৷ মামলার আরেকজন আসামি ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেনকে পলাতক দেখানো হয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান