1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হাবল দেখছে, একটি তারা কিভাবে তার গ্রহকে খেয়ে ফেলছে

২৫ মে ২০১০

হতভাগ্য গ্রহটির নাম ডাবলিউএএসপি-১২বি৷ তার জীবনের মেয়াদ আর বড়জোর এক কোটি বিশ লক্ষ বছর৷ তার মধ্যে যে তারকা থেকে তার জন্ম, সেই তারকাই তাকে খেয়ে ফেলবে৷

https://p.dw.com/p/NW0Y
হাবলের চোখ যা দেখে...ছবি: AP

গ্রহটি ইতিমধ্যেই একটি রেকর্ডের অধিকারী, কেননা আমাদের মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সি'তে তার চেয়ে বেশী বহির্তাপমাত্রা আর কোনো গ্রহের নেই৷ ওয়্যাস্প-১২বি'র পৃষ্ঠভাগের তাপমাত্রা হল দেড় হাজার ডিগ্রী সেলসিয়াস কিংবা আঠাশ হাজার ডিগ্রী ফারেনহাইট৷

গ্রহটি আবিষ্কৃত হয় ২০০৯ সালে৷ সে পৃথিবী থেকে প্রায় ৬০০ আলোকবর্ষ দূরত্বে অবস্থিত এবং তার আয়তন পৃথিবীর প্রায় ৩০০ গুণ৷ এবং তার ‘মাস' বা ওজন আমাদের সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতির চেয়ে ৪০ শতাংশ বেশী৷ এছাড়া সে তার জনক তারকাটির এতো কাছে যে তার এক বছর অতিক্রান্ত হয় ২৪ ঘণ্টায়, অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সে তার ‘সূর্য' প্রদক্ষিণ করে আসে৷

ফেরা যাক হাবল'এর কথায়৷ এই মহাশূন্য টেলিস্কোপটিতে ২০০৯ সালে কসমিক অরিজিন্স স্পেক্টোগ্রাফ নামের একটি যন্ত্র বসানো হয়৷ সেই যন্ত্রে সাহায্যে এবার বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, কিভাবে মাধ্যাকর্ষণের শক্তি ওয়্যাস্প-১২বি গ্রহটিকে গোল থেকে ডিম্বাকৃতি করে তুলেছে৷ গ্রহটির চারপাশে পুঞ্জ পুঞ্জ পদার্থ জমেছে, যা শীঘ্রই তার জনক তারকাটির ক্ষুধা মেটাবে৷ এই বর্ণনা দিয়েছেন ব্রিটেনের ওপেন ইউনিভার্সিটির ক্যারল হ্যাসওয়েল৷

তারকার গ্রহ খাবার ব্যাপারটি জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের কাছে কিছু নতুন নয়৷ কিন্তু এতো স্পষ্টভাবে ব্যাপারটা চাক্ষুষ করার সুযোগ তারা এর আগে পাননি৷ তবে ‘দ্য এ্যাস্ট্রোফিজিকাল জার্নাল লেটার্স'-এ প্রবন্ধটি প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে ‘নেচার' সাময়িকীতে বেইজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের শু-লিন লি'র লেখাটিরও নাম করতে হয়৷ শু-লিন'ই প্রথম ভবিষ্যদ্বাণী করেন যে গ্রহটির ত্বক মাধ্যাকর্ষণের টানে বিকৃত হবে৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার