1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হামিদুরের জীবন গাথা – ‘আ স্মল স্মল ওয়ার্ল্ড’

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১

বাংলাদেশি যুবক হামিদুর রহমানের অভিবাসী জীবনে করুণ মৃত্যু নিয়ে ডকুমেন্টারি থিয়েটার ‘এ স্মল স্মল ওয়ার্ল্ড’-এর প্রথম প্রদর্শনী হয়ে গেল গত সপ্তাহে ঢাকার গ্যোটে ইনষ্টিটিউটে৷

https://p.dw.com/p/10GOd
হামিদুরের মা সোফিয়া খান এবং বোন সদিয়া স্বাতীছবি: DW

দুই তরুণ জার্মান এবং এক ভারতীয় যুবকের এই পরিবেশনা দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়েছে৷ প্রশ্ন তুলেছে দেশে দেশে আরোপিত সীমানা আর নাগরিকত্ব নিয়ে৷

হামিদুর রহমান সবুজ৷ ৩০ বছর বয়সের এই বাংলাদেশি যুবককে বরফ আচ্ছাদিত গ্রিনল্যান্ডের কোন এক জায়গা থেকে মৃতপ্রায় অবস্থায় উদ্ধার করে জীবন বাঁচিয়েছিলেন এক পাইলট৷ তিনি ওই এলাকা থেকে হেলিকপ্টার নিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় হামিদুরকে দেখতে পান৷ দিনটি ছিল ২০০৭ সালের ২৬শে এপ্রিল৷

রাজনৈতিক নিপীড়নে বাংলাদেশ থেকে প্রথমে মালয়েশিয়া যায় হামিদুর৷ সেখানে বিয়ে৷ তারপর স্ত্রী পুত্রকে নিয়ে জার্মানি৷ জার্মানিতে ঠাঁই না পেয়ে তার স্বপ্নের দেশ কানাডায় যাচ্ছিল পায়ে হেঁটে উত্তর মেরুর ওই ভয়ংকর পথ দিয়ে৷ উদ্ধার হওয়ার পর আবার জার্মানিতে৷ তারপর মৃত্যু৷

আর এই নিয়েই ডকুমেন্টারি থিয়েটার ‘আ স্মল স্মল ওয়ার্ল্ড'৷ পত্রিকায় পড়ে এই কাহিনী মানুষকে থিয়েটারের মাধ্যমে জানানোর সিদ্ধান্ত নেন জার্মান পরিচালক কনরাডিন কুনৎসে ও সোফিয়া স্টেফ৷ হামিদুরের মা সোফিয়া খান এবং বোন সদিয়া স্বাতী উপস্থিত ছিলেন প্রদর্শনীর সময়৷ দর্শকরাও আবেগে আপ্লুত হন হামিদুরের জীবনের এই করুন গল্পে৷ অভিনয় শিল্পীদের একজন অভিষেক মজুমদার প্রশ্ন তোলেন, পাসপোর্টই কি একজন মানুষের সবচেয়ে বড় পরিচয়?

সাউন্ড, লাইট, ভিজ্যুয়াল আর সরাসরি অভিনয়ের মাধ্যমে উপস্থাপনার এই কৌশল নাড়া দেয় ডয়চে ভেলে দক্ষিণ এশিয়ার সমন্বয়কারী সম্পাদিকা দেবারতি গুহকেও৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন