ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় পাঠক নয়ন স্যাম লিখেছেন, ‘‘বার্মার বৌদ্ধ সন্রাসীরা একে একে মুসলমানদের শেষ করে দিচ্ছে অথচ মুসলিম বিশ্ব নির্বিকার!'' নয়নের সাথে একমত পাঠক আমিনুল ইসলাম শুভ ও আশরাফুল ইসলাম৷
তবে পাঠক বশির খান মনে করেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের এমনটা হলে দেশের সুশীল সমাজ এগিয়ে আসতো৷ আর এ ধরণের হত্যাকান্ড সম্পর্কে দেওয়ান কিবরিয়া লিখেছেন, ‘‘হায়রে মানবতা! হায়রে মানুষ! কোথায় আজ মনুষ্যত্ব?''
তানভির শুধু দুঃখ করে লিখেছেন, ‘‘এ সব ব্যাপারে আজকাল আর কারও চেতনা জাগ্রত হয় না৷''
আর ডয়চে ভেলের পাঠক বাবুল হাসানের ধারণা, এত দিন ধরে হত্যাযজ্ঞ চলছে, কোনো মিডিয়াই নাকি খবরগুলো সেভাবে প্রচার করছে না৷
পাঠক নজরুল ইসলাম ‘‘আল্লাহ নির্যাতিত এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে রক্ষা করুন!'' এই বলে শুধু প্রার্থনা করছেন৷
শেষমেশ মোবারক হোসেনের সুমনের শুধু প্রশ্ন, ‘‘এভাবে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে, এতে কি কোন মানবধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে না ?''
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী
-
রোহিঙ্গাদের ‘যুদ্ধের’ যেন শেষ নেই
আটকে পড়া
গত ১০ মে চারটি নৌযানে করে ইন্দোনেশিয়ার আচে প্রদেশে প্রবেশ করে ৬০০ রোহিঙ্গা৷ একই সময়ে লাংকাওইতে প্রবেশ করে প্রায় এক হাজার রোহিঙ্গা৷ সমুদ্র থেকে স্থলে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ তাঁদের ঘিরে ফেলে৷ ভাগ্যান্বেষণে দেশ ছাড়া মানুষগুলো এখনো মুক্ত নয়৷
-
রোহিঙ্গাদের ‘যুদ্ধের’ যেন শেষ নেই
ক্লান্ত
মানবপাচারকারীরা তাঁদের ছেড়ে যাওয়াতে সমুদ্রবক্ষে বিপদেই পড়েছিলেন রোহিঙ্গারা৷ আনুমানিক সপ্তাহ খানেক সমুদ্রপথে ঘুরে অবশেষে ভীষণ ক্ষুধার্ত এবং ক্লান্ত অবস্থায় তাঁরা ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছান৷ দীর্ঘ অর্ধাহার, অনাহারে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে৷ তাঁদের চিকিৎসা চলছে৷
-
রোহিঙ্গাদের ‘যুদ্ধের’ যেন শেষ নেই
ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা
প্রতিবছর এভাবেই মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে শত শত রোহিঙ্গা৷ মিয়ানমার ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কিছু বাংলাদেশিও থাকেন সব সময়৷ ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী তোলায় অনেক নৌযান ডুবে যায় সাগরে, সলিলসমাধি হয় অনেকের৷ জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, এ বছরের প্রথম তিন মাসে ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ছেড়েছেন অন্তত ২৫ হাজার রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি৷
-
রোহিঙ্গাদের ‘যুদ্ধের’ যেন শেষ নেই
ওদের কোনো দেশ নেই!
বৌদ্ধপ্রধান দেশ মিয়ানমারে ৮ লক্ষের মতো রোহিঙ্গা মুসলমানের বাস৷ তবে সংখ্যাটা দ্রুতই কমছে৷ বৌদ্ধদের সঙ্গে দাঙ্গার কারণে দেশ ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন অনেকেই৷ মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে স্বীকারই করে না৷ তাদের মতে, রোহিঙ্গারা ‘বাংলাদেশি অভিবাসী’৷ আবার বাংলাদেশে আশ্রয় নিলে ঐতিহাসিক কারণেই তাঁদের মিয়ানমার থেকে আগত বহিরাগতের মর্যাদা দেয় বাংলাদেশ৷
-
রোহিঙ্গাদের ‘যুদ্ধের’ যেন শেষ নেই
আধুনিক দাস-বাণিজ্য
মানবপাচারকারীদের কাছে সমুদ্রপথে বাংলাদেশ ছাড়া রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশিরা যেন ক্রীতদাস৷ মাত্র ২০০ ডলারের বিনিময়ে নির্বিঘ্নে মালয়েশিয়ায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে নৌযানে তুললেও যাত্রীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হয়৷ খেতে না দেয়া, ছোট্ট জায়গায় গাদাগাদি করে থাকতে বাধ্য করা, শারীরিক নির্যাতন – বলতে গেলে সব ধরণের অত্যাচারই চলে তাঁদের ওপর৷
-
রোহিঙ্গাদের ‘যুদ্ধের’ যেন শেষ নেই
থাইল্যান্ড নিয়ে আতঙ্ক
রোহিঙ্গারা থাইল্যান্ডেও যান৷ জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, ২০১২ সালে আড়াই লাখ মানুষ অবৈধভাবে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করেছেন৷ অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য থাইল্যান্ড অবশ্য একেবারেই নিরাপদ ঠিকানা নয়৷ মানবপাচারকারীরা সে দেশে নিয়ে অভিবাসন প্রত্যাশীদের জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি করে৷ মুক্তিপণ না দিলে মেরেও ফেলা হয়৷ সম্প্রতি মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে বেশ কিছু গণকবরের সন্ধান পেয়েছে থাই সরকার৷
-
রোহিঙ্গাদের ‘যুদ্ধের’ যেন শেষ নেই
পরিত্যক্ত
থাইল্যান্ড সরকারের অভিযান শুরুর পর অনেক রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশিকে গভীর জঙ্গলে ফেলে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়৷ মালয়েশিয়া সীমান্তের কাছের জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে এ পর্যন্ত অন্তত শ’ খানেক অভিবাসন প্রত্যাশীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে থাই কর্তৃপক্ষ৷
লেখক: গাব্রিয়েল ডমিনগেজ/এসিবি