1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হিটলারকে কাছে রাখতে পারবেন না তার মা-বাবা!

৭ আগস্ট ২০১০

নাৎসি নেতা আডল্ফ হিটলার৷ বিগত হয়েছেন অনেকদিন হলো৷ কিন্তু এখনো তাঁর নামটি বেশ আলোচিত৷ এই যেমন, হিটলারের নামে নাম রাখার কারণে মা-বাবার কাছ থেকে বাচ্চাকে কেড়ে নেয়া হয়েছে – এমন অভিযোগ এক মার্কিন দম্পতির৷

https://p.dw.com/p/OeOe
আডল্ফ হিটলার এখনো আলোচিতছবি: PA/dpa

অ্যামেরিকার নিউ জার্সিতে বসবাস ক্যাম্পবেল দম্পতির৷ তিন সন্তান তাঁদের৷ সবার নাম নাৎসি সম্পর্কিত নামের সঙ্গে মিলিয়ে রাখা৷ আর ছেলের নামতো একদম পুরোপুরিই হিটলারের নামে রাখা৷ সঙ্গে শুধু যুক্ত হয়েছে পরিবারের টাইটেল ক্যাম্পবেল৷ অর্থাৎ ছেলের পুরো নাম আডল্ফ হিটলার ক্যাম্পবেল৷ আর দুই মেয়ের একজনের নাম ইয়োসেলাইন আরইয়ান নাসিউন ক্যাম্পবেল, অন্যজনের হোনশলাইন হিনলেয়ার ইয়ানি ক্যাম্পবেল৷

গত বছরের জানুয়ারী মাস থেকে আদালতের নির্দেশে এই তিন সন্তান বড় হচ্ছে অন্য মা-বাবার কাছে৷ তাইতো সন্তানদের নিজেদের কাছে ফিরে পেতে আদালতের শরনাপন্ন হয়েছিলেন ক্যাম্পবেল দম্পতি৷ কিন্তু আদালত তাঁদের বিপক্ষে রায় দিয়েছে৷ কারণ হিসেবে আদালত বলেছে, ঐ তিন সন্তানের বাবা হিথ ক্যাম্পবেলের কোনো চাকরি নেই এবং মানসিকভাবে তিনি অসুস্থ৷ এছাড়া তিনি পড়ালেখা জানেন না৷ আর মা ডেবোরাহ ক্যাম্পবেলেরও মানসিক সমস্যা রয়েছে৷

কিন্তু ক্যাম্পবেল দম্পতির অভিযোগ, নাৎসি নামের কারণেই সন্তানদের তাঁদের কাছ থেকে দূরে রাখা হচ্ছে৷

ঘটনার শুরু ২০০৮ সালে৷ তখন ছেলের জন্মদিনের জন্য একটি কেকের অর্ডার দিতে গিয়েছিলেন ক্যাম্পবেল দম্পতি৷ কিন্তু কেকের ওপর আডল্ফ হিটলার নামটি লিখতে অস্বীকার করেন বেকারির মালিক৷ ঐ সময় প্রথমবারের মত বিষয়টি সাধারণ জনগণের সামনে আসে৷ এরপর ধীরে ধীরে সন্তানদের ওপর ঐ দম্পতির নির্যাতনের খবর বের হয়ে আসতে থাকে৷ এরই এক পর্যায়ে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে কয়েকজন সমাজসেবীকে দিয়ে অভিযোগগুলোর তদন্ত করানো হয়৷ তদন্তে শিশু নির্যাতনের বিষয়টি প্রমাণিত হলে আদালতের নির্দেশে ঐ তিন সন্তানকে তাদের মা-বাবার কাছ থেকে সরিয়ে নেয়া হয়৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম