হেলমুট স্মিড্টের বাড়িতে যা আছে
হেলমুট স্মিড্ট, যিনি ১৯৭৪ থেকে ১৯৮২ অবধি জার্মানির চ্যান্সেলর ছিলেন, এবং তাঁর স্ত্রী লোকির বাড়িটি দেখলেই বোঝা যায় যে তাঁরা শিল্পপ্রেমী ছিলেন৷ তাঁদের ফাউন্ডেশনই সেই বাড়িতে এবার একটি ভার্চুয়াল ট্যুরের ব্যবস্থা করেছে৷
শিল্পকর্মে ভরপুর প্রবেশদ্বার
হেলমুট এবং লোকি ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে বাড়িটিতে ‘ভার্চুয়াল ট্যুরের’ সুযোগ করে দেয়া হয়েছে৷ ট্যুরের শুরু বাড়ির প্রবেশদ্বার থেকে৷ শুরুতেই রয়েছে লম্বা হল, যেখানে বিভিন্ন শিল্পকর্ম রাখা আছে যা দেখলে বোঝা যায় স্মিড্টরা শিল্পপ্রেমী ছিলেন৷ ফাউন্ডেশনের অ্যাপে ক্যামেরার সিম্বলে ক্লিক করে শিল্পকর্মগুলো বড় করে দেখা যাবে৷
মনে হবে একটু আগেই উঠে গেছেন তিনি
হেলমুট স্মিড্ট মারা গেছেন গত বছরের নভেম্বরে৷ অথচ তাঁর অফিস ঘর দেখলে মনে হবে এই বুঝি তিনি রুম ছেড়ে অন্য কোথাও গেছেন৷ দাড়ি শেভ করার আয়না থেকে আধপোড়া মোমবাতি পর্যন্ত বিভিন্ন ছোট ছোট বস্তু দেখলে মনে হবে না বাড়িটি একটি মিউজিয়াম৷
নাবিকের বার
হামবুর্গ থেকে আসা স্মিড্ট তাঁর বাড়ির বারটি তৈরি করেছিলেন একেবারে হার্বার পাবের মতো করে৷ বারের ডানদিকেই বাড়ির ডাইনিং রুম৷
একটি প্রাণবন্ত ডাইনিং টেবিল
পেইন্টিং এবং ভাস্কর্যে ঘেরা ডাইনিং রুমে খাবার খেতেন স্মিড্টরা৷ ডাইনিং টেবিলে এখনো তাদের অনেক চিহ্ন রয়েছে যা দেখে তারা কী ধরনের খাবার খেতেন সে সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়৷
চিমনির আশেপাশে
হেলমুট স্মিড্ট তাঁর রেকর্ডের বিশাল সংগ্রহ ফায়ারপ্লেসের পাশে রাখতেন৷ জীবনের শেষ সময়ে তিনি সেগুলো সব শুনতে পারেননি৷ মৃত্যুর পূর্বে তিনি তাঁর বিশাল সংগ্রহ হামবুর্গের এক সংগীত এবং অভিনয় স্কুলে দান করে দিয়েছিলেন৷
প্রিয় খেলা
লোকি এবং হেলমুট স্মিড্ট দাবা খেলতে ভালোবাসতেন৷ শুধু বাড়িতে নয়, ছুটি কাটাতে গিয়েও দাবার কোর্ট নিয়ে বসতেন তাঁরা৷ স্মিড্ট একসময় বলেছিলেন, ‘‘দাবা খেলাটা আমি ছোটবেলায় বাবার কাছ থেকে শিখেছি, এবং তারপর আর খেলাটা সম্পর্কে বাড়তি কিছু শিখিনি৷’’
সংগীতজ্ঞ স্মিড্ট
হেলমুট স্মিড্ট একজন চমৎকার পিয়ানো বাদক ছিলেন৷ আশির দশকে প্রথমবার চ্যান্সেলর নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি কনসার্টও করেছেন৷ আরো দুই জার্মান পিয়ানো বাদকের সঙ্গে তাঁর অ্যালবামও বেরিয়েছে৷ জীবনের শেষ সময় অবধি পিয়ানো বাজিয়েছেন স্মিড্ট, যদিও শেষের দিকে তাঁর শ্রবণশক্তি কমে গিয়েছিল৷