1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী

৪ মে ২০১১

পাঁচদিন তল্লাশির পর ভারত-ভূটান সীমান্তের কাছে পাহাড়ি জঙ্গলে হেলিকপ্টারের ভগ্নাবশেষ থেকে উদ্ধার করা হয় অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী দোরজি খাণ্ডুর মৃতদেহ৷ নিহত হন তাঁর সহযাত্রী অপর চারজন৷

https://p.dw.com/p/118vs
চীন সীমান্ত বরাবর কেলা গিরিপথে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে তেরো হাজার ফুট উচ্চতায় ওড়ার সময় হেলিকপ্টারটির রেডিও সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় (ফাইল ছবি)ছবি: AP

হেলিকপ্টারটি তাওয়াং থেকে যাচ্ছিল ইটানগর৷ অরুণাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী দোরজি খাণ্ডুর মৃতদেহ আজ শনাক্ত করেন তাঁর আত্মীয়পরিজন এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান৷কেন্দ্রীয় উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়ন মন্ত্রী বি.কে হাণ্ডিক আজ একথা জানান সংবাদমাধ্যমকে৷ বলেন,মুখ্যমন্ত্রীর অপর চরজন সহযাত্রীর দেহ এমনভাবে পুড়ে গেছে যে,তাঁদের শনাক্তকরণ সম্ভব হয়নি৷ অবশ্য একথাও তিনি বলেন যে, ডিভিশনাল কমিশনার মৃতদেহের দায়িত্ব নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার পর সরকারিভাবে মৃত্যুর খবর ঘোষণা করা হবে৷ মৃত্যুর খবরে অরুণাচলের লোকজন শোকে ও ক্ষোভে ফেটে পড়ে৷ আমরা এর তদন্ত চাই৷ তল্লাশির কাজে গাফিলতির অভিযোগ করেন তাঁরা৷

গত শনিবার সকালে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং জেলা থেকে পবনহংস হেলিকপ্টার সার্ভিসের এক ইঞ্জিন বিশিষ্ট চার আসনের ইউরোকপ্টারটি মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে ওড়ার ২০-২৫ মিনিট পর নিখোঁজ হয়৷ চীন সীমান্ত বরাবর কেলা গিরিপথে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সাড়ে তেরো হাজার ফুট উচ্চতায় ওড়ার সময় হেলিকপ্টারটির রেডিও সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়৷ দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় খারাপ আবহাওয়ার দরুণ তল্লাশি কাজ ব্যাহত হয়৷ উপগ্রহ চিত্র থেকে ধাতব কিছুর ভগ্নাবশেষ চিহ্নিত করা হয়৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি.চিদাম্বরম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, কাছের সেনা চৌকিতে সে খবর গেলে সেনাবাহিনীর একটি দল পায়ে হেঁটে দুর্ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়৷ দুর্ঘটনাস্থলটি কেলা থেকে ৪-৫ কিলোমিটার দূরে৷এদিকে হেলিকপ্টার সার্ভিসের রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্তি নটরাজনের মন্তব্য, নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার৷

৫৬বছর বয়সি দোরজি খাণ্ডু কংগ্রেস শাসিত অরুণাচলের দুবারের মুখ্যমন্ত্রী৷ রাজনীতিতে আসার আগে তিনি কাজ করতেন সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগে৷ বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে প্রসংশনীয় কাজের জন্য তিনি পান স্বর্ণপদক৷ তাওয়াং থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কাজ করে তিনি জনপ্রিয় হন৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়,নতুনদিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক