1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হোপ ফেরালেন উইন্ডিজের আশা

১১ ডিসেম্বর ২০১৮

একপ্রান্তে নিয়মিত উইকেট পড়লেও অপর প্রান্ত আগলে রেখে দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে ম্যাচ জেতালেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেই হোপ৷ দ্বিতীয় ওয়ানডে জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশের সঙ্গে ১-১ সমতায় ফিরলো ক্যারিবীয়রা৷ অপেক্ষা রইলো সিলেটের৷

https://p.dw.com/p/39tOP
Cricket-Spiel Bangladesch vs Westindische Inseln
ছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ৷ টাইগারদের প্রথম ওয়ানডে জয়ী একাদশে কোনো পরিবর্তন আসেনি৷ ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশে পরিবর্তন ছিল একটি৷ ওপেনার কাইরান পাওয়েলের জায়গায় বাঁহাতি ব্যাটসম্যান চন্দ্রপল হেমরাজকে নেয়া হয় দলে৷

শুরুতেই উইন্ডিজ বোলার ওশান টমাসের গতির ঝড়ে পড়েন দুই ওপেনার৷ দ্বিতীয় ওভারে টমাসের একটি ইয়র্কার পায়ে লেগে চোট পান লিটন দাস৷ এক রান নিলেও পরে শুয়ে পড়েন মাঠে৷ ফিজিওর প্রাথমিক চিকিৎসাতেও কাজ না হওয়ায় মাঠ ছাড়েন স্ট্রেচারে করে৷

৫ রানে লিটন অবসরে গেলে মাঠে নামেন ইমরুল কায়েস৷ আগের ম্যাচে টমাসের বলেই বোল্ড হওয়া ইমরুল এবারও কট বিহাইন্ড শুন্য রানে৷ তবে লিটন-ইমরুলের বিদায় ভালোই সামাল দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম৷ ১১১ রানের পার্টনারশিপ ভাঙে তামিমের বিদায়ে৷ ৫০ রান করে তামিম যখন প্যাভিলিয়নের পথে, বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে তখন ২৩.৩ ওভারে দুই উইকেটে ১২৫ রান৷

মুস্তাফিজুর রহমানের কাটারে ৪৫ বলে ২৬ রান করে আউট হন স্যামুয়েলস
মুস্তাফিজুর রহমানের কাটারে ৪৫ বলে ২৬ রান করে আউট হন স্যামুয়েলসছবি: Getty Images/AFP/M. Uz Zaman

৪১.১ ওভারে বাংলাদেশের দলীয় স্কোর ২০০ স্পর্শ করে৷ মুশফিক-মাহমুদুল্লাহর বিদায়ের পরও হাতে রয়েছে ছয় উইকেট৷ তিনশ রানের সংগ্রহের পথে সেসময় কোনো বাধা দেখা যাচ্ছিলো না৷ কিন্ত এর পর ধস নামে টাইগারদের মিডল অর্ডারে৷

ব্যক্তিগত মাত্র ছয় রানে সৌম্য সরকারের বিদায়ে আহত হয়ে মাঠ ছাড়া লিটন আবার আসেন ব্যাটিংয়ে৷ কিন্তু মাত্র তিন ওভার পর ৪৬তম ওভারে ছক্কা মারতে গিয়ে ব্যক্তিগত আট রানে লং অনে ক্যাচ দেন তিনি৷ পরের ওভারে কেমার রোচের দারুণ এক স্লোয়ারে বিভ্রান্ত হয়ে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন সাকিবও৷

স্লগ ওভারে প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারেনি বাংলাদেশ৷ মাশরাফি ও মিরাজ শেষ দুই ওভার থেকে নিতে পেরেছেন মাত্র ৫ রান৷ শেষ পাঁচ ওভারে বাংলাদেশের স্কোরে যোগ হয়েছে মাত্র ২৬ রান৷ বাংলাদেশের রানের চাকা থামে ২৫৫ রানে৷

ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রত্যাবর্তন

উইকেট বিবেচনায় একসময় বাংলাদেশের দেয়া টার্গেট বেশ বড়ই মনে হচ্ছিল৷ দ্বিতীয় ওভারেই হেমরাজকে এলবিডব্লু করে মেহেদী হাসান মিরাজ সে পালে লাগিয়েছিলেন জোর হাওয়া৷

কিন্তু এরপরই দেয়াল হয়ে এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে পড়েন শেই হোপ৷ ড্যারেন ব্রাভোকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে গড়ে তুলেন ৬৫ রানের জুটি৷ রুবেল হোসেন নিজের প্রথম ওভারে ব্রাভোকে বোল্ড করে বিদায় করলেও কমেনি রানের গতি৷

মারলন স্যামুয়েলস মাঠে নেমে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ও তুলে নেন অর্ধশত রান৷ মুস্তাফিজুর রহমানের কাটারে ৪৫ বলে ২৬ রান করে আউট হন স্যামুয়েলস৷ ওয়েস্ট ইন্ডিজ তখন পৌছে গেছে ৩৩ ওভারে চার উইকেটে ১৫৫৷

এরপর শুরু হয় বাংলাদেশের ফিল্ডারদের ক্যাচ মিস আর মিস ফিল্ডিংয়ের মহড়া৷ স্যামুয়েলসের বিদায়ে ক্রিজে আসা শিমরন হেটমায়ার রুবেলের বলে শূন্য রানে সহজ ক্যাচ তুলে দিলেও তা তালুবন্দি করতে পারেননি ইমরুল৷ এর পর ২৫ রানের মধ্যে দ্রুত তিন উইকেট তুলে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা৷

সুযোগ এসেছিল আরো৷ পরপর দুইবার হোপের সঙ্গী কিমো পলকে আউট করার সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ৷ ব্যক্তিগত ছয় রানে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে আসা ক্যাচ ডাইভ দিয়েও ধরতে পারেননি নাজমুল ইসলাম অপু৷ পরে আবার ব্যক্তিগত ১২ রানে রুবেলের বলে পুল করে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিলেন পল৷ এবারো বল গেল অপুর কাছে, আবারো মিস৷

শেষ পর্যন্ত দুই বল বাকি থাকতে সেই পলকে সাথে নিয়েই হোপ ভেড়ালেন ক্যারিবীয় তরী৷

এডিকে/এপিবি