1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পোস্টকার্ডের কদর কমে নি

১৪ নভেম্বর ২০১৯

আজকের মোবাইল ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপের যুগে বেড়াতে গেলে পাহাড়-সমুদ্রের ছবি ও ভিডিও বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া যায়৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও সচিত্র পোস্টকার্ডের কদর কমে নি৷ ফলে পোস্টকার্ড নিয়ে ব্যবসাও জমে উঠেছে৷

https://p.dw.com/p/3Syfi
ছবি: picture-alliance/arkivi

সারা পৃথিবী থেকে আসা রঙিন পোস্টকার্ডের সমারোহ দেখলে মুগ্ধ হতে হয়৷ কিন্তু সুন্দর সেই সব পোস্টকার্ড কীভাবে তৈরি হয়েছে, তা কি আমরা জানি? আলোকচিত্রী হিসেবে ইংগো ভান্ডমাখার বাল্টিক সাগরের তীরে জার্মানির ট্রাভেম্যুন্ডে পর্যটন কেন্দ্রে পোস্টকার্ডের আদর্শ মোটিফের খোঁজ করছেন৷ ইংগো বলেন, ‘‘এখানে পানিতে সুন্দর প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে৷ তাতে পালতোলা নৌকার ছায়া পড়েছে৷ বিখ্যাত প্রাচীন লাইটহাউসও শোভা পাচ্ছে৷ আকাশচুম্বী হোটেল ভবনটি শহরের অন্যতম নিদর্শন৷ এটি সৈকতের প্রচলিত ছবির সুন্দর বিকল্প৷’’

জার্মানির ল্যুবেক শহরের প্রকাশক সংস্থা শ্যোনিং ইংগো ভান্ডমাখার-কে ট্রাভেম্যুন্ডে শহরের পোস্টকার্ডের জন্য ছবি তোলার বরাত দিয়েছে৷ এই কোম্পানি বছরে প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ পোস্টকার্ড তৈরি করে৷ সংস্থার কর্ণধার বরিস হেসে মনে করিয়ে দেন, ‘‘পোস্টকার্ড এখনো আকর্ষণীয়, কারণ মানুষ ছুটি কাটাতে গেলে এখনো পোস্টকার্ড পাঠায়৷ ছুটি সম্পর্ক প্রশ্ন করলে সবাই আইস ক্রিম খাওয়া, মিনিগল্ফ খেলা, সাঁতার কাটা এবং পোস্টকার্ড লেখার কথা বলে৷ সে কারণে ব্যবসা এখনো ভালো চলছে৷’’

ফিরে আসছে পোস্টকার্ড

একজন গ্রাফিক শিল্পী ইংগো ভান্ডমাখার-এর ছবিগুলি কম্পিউটারে এডিট করেন৷ তারপর প্রিন্ট করে তার উপরিভাগ চকচকে করে তোলা হয়৷ শেষে যন্ত্রের মাধ্যমে কেটে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়৷

ইউরোপে একটি পোস্টকার্ডের মাধ্যমে এই প্রবণতা শুরু হয়েছিল৷ ১৮৬৯ সালের ১লা অক্টোবর অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরিতে পোস্টকার্ডের প্রচলন শুরু হয়৷ বার্লিনের যোগাযোগ ব্যবস্থা সংক্রান্ত মিউজিয়ামে ঊনবিংশ শতাব্দীতে পোস্টকার্ডের স্বর্ণযুগের কিছু নমুনা শোভা পাচ্ছে৷ মিউজিয়ামের কিউরেটর ফাইট ডিডসুনেইট বলেন, ‘‘এটি সাধারণ মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম ছিল৷ তাঁদের লেখার তেমন অভ্যাস ছিল না৷ সে যুগে চিঠি লেখার নিজস্ব এক শৈলি এবং নানা জটিল বিধিনিয়ম ছিল৷ পোস্টকার্ড আসায় সহজে, আরও দ্রুত, কম শব্দে বার্তা পাঠানো সম্ভব হলো৷ ফলে এর জনপ্রিয়তাও বেড়ে গেল৷’’

১৯০৫ সালে শুধু জার্মান সাম্রাজ্যেই প্রায় ৫০ কোটি পোস্টকার্ড চালাচালি হয়েছে৷ কখনো হাস্যরস দেখাতে, কখনো প্রেম নিবেদন করতে মানুষ পোস্টকার্ড পাঠাতো৷

সুসানে ডাউস/এসবি