1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

২০১০ সালের ‘আডল্ফ গ্রিমে’ পুরস্কার পেলেন শাহীন দিল-রিয়াজ

১৩ মার্চ ২০১০

চট্টগ্রাম সীতাকুন্ড এলাকায় জাহাজ কাটা শ্রমিকদের খুব কাছাকাছি থেকে তাদের এবং তাদের কর্মক্ষেত্র নিয়ে তৈরি করা প্রামাণ্য চিত্র ‘লোহাখোর’এর জন্য এ বছরের ‘আডল্ফ গ্রিমে’ পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত শাহীন দিল-রিয়াজ৷

https://p.dw.com/p/MSFc
‘লোহাখোর’ ছবির শুটিং-এর সময় শাহীন দিল-রিয়াজছবি: Lemme Film GmbH
জীবনের তাড়নায়, অভাবে আক্রান্ত মানুষ তাদের শারীরিক সুস্থতা ও জীবন বিপন্ন করে যে ভাবে এই আধুনিক প্রযুক্তির পৃথিবীতে, পুরোনো জাহাজ ভেঙ্গে লোহার পাতে পরিণত করে থাকে - শুধুমাত্র সেটা তুলে ধরার ফলেই হয়ত এ ছবি স্বার্থক৷ কিন্তু সম্প্রতি, একে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে টেলিভিশনের জগতে জার্মানির অন্যতম পুরস্কার ‘আডল্ফ গ্রিমে’ পুরস্কার৷
Korankinder
শাহীন’এর ‘কোরান সন্তান’ ছবির একটি দৃশ্যছবি: moviemento

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে বাৎসরিক খরার জন্য, ক্ষুধার জ্বালায় অথবা অনাহারী সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে, দক্ষিণে জাহাজ ভাঙ্গার কারখানায় পাড়ি জমায় পুরুষরা৷ উন্নত বিশ্বের বাতিল হয়ে যাওয়া এবং বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থে ভরা সব জাহাজ দাঁড়িয়ে সেখানে৷ যেখানে, নিজেদের জীবন বাজি রেখে জাহাজ কেটে লোহার পাতে পরিণত করে ঐ সব শ্রমিক৷ লোহার ভারী ভারী দড়ি টেনে জাহাজে বাঁধে তারা৷ ওয়েল্ডিং করে৷ অথচ তাদের মাথায় থাকে না হেলমেট, থাকে না পায়ের জুতো, কোনরকম নিরাপত্তা, ডাক্তার অথবা স্ট্রেচার৷

Bangladesch Tagung Hannover 2008
জার্মানির হ্যানোভার শহরে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ বিষয়ক একটি সম্মেলনে দিল-রিয়াজছবি: Debarati Guha

মজার বিষয়, সে সব লোহার ওপর ভিত্তি করেই একসময় গড়ে ওঠে শহরের বড় বড় ইমারত৷ বিদেশে রপ্তানি হয় লোহা৷ কিন্তু এসব শ্রমিকের ভাগে কি জোটে? সারাদিনের বেতন মাত্র ৮০ টাকা৷ তার ওপর প্রতিদিন কাজের নিশ্চয়তাও নেই সে কারখানায়৷ তাই মৌসুমের শেষে অনেককেই বাড়ি ফিরতে হয় খালি হাতে৷ শুরু হয় দারিদ্রের আরো একটা দুষ্টচক্র৷ তাই সেই পটভূমির আবহ নির্মাণেই শাহীন দিল-রিয়াজের স্বার্থকতা৷ সেখানকার মানুষদের সঙ্গে তাঁর আন্তরিকতা আর ছবি তৈরির ক্ষেত্রে মুনশিয়ানা ছুঁয়ে যায় দর্শকের মন৷ অচিরেই একদিন যা জয় করে ‘আডল্ফ গ্রিমে’ পুরস্কার৷

প্রতিবেদক : দেবারতি গুহ

সম্পাদনা : হোসাইন আব্দুল হাই