1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সার্জারিতে আলাদা রাবেয়া-রোকাইয়া

২ আগস্ট ২০১৯

বাংলাদেশের জোড়া মাথার দুই শিশুর মাথার খুলি ও ব্রেইন আলাদা করেছেন হাঙ্গেরির একদল চিকিৎসক৷

https://p.dw.com/p/3NECG
Symbolbild - Stethoskop
প্রতীকী ছবিছবি: picture-alliance/dpa/P. Pleul

ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৩০ ঘণ্টা ধরে অপারেশন করে তিন বছর বয়সী জমজ রাবেয়া ও রোকাইয়ার খুলি ও ব্রেইন আলাদা করা হয়৷ এই অপারেশনের মধ্য দিয়ে হাঙ্গেরি থেকে নিয়ে আসা একটি কোমল টিস্যু দিয়ে মাথার ক্ষতস্থান ঢেকে দেওয়া হয়েছে৷ এই শিশুদের মাথা আলাদা করার পর অপারেশন দলের নেতৃত্ব দেওয়া নিউরোসার্জন আন্দ্রেস কসোকে বলেন, ‘‘ওদের অবস্থা স্থিতশীল৷'' এই চিকিৎসকই অ্যাকশন ফর ডিফেন্স পিউপল ফাউন্ডেশনের ৩৫ জন সার্জন দলের নেতৃত্বে ছিলেন৷

২০১৬ সালের ১৬ জুলাই জোড়া মাথা নিয়ে জন্ম নেয় পাবনার চাটমোহরের আটলংকা গ্রামের রফিকুল ইসলাম ও তাসলিমা খাতুন দম্পতির সন্তান রাবেয়া-রোকাইয়া। রাবেয়া-রোকাইয়া যে বিরল রোগে ভুগছে তা প্রতি পাঁচ থেকে ছয় মিলিয়ন শিশুর মধ্যে একজনের হয়ে থাকে৷ সফল অপারেশনের পর সন্তানদের মাথা আলাদা হওয়ায় জমজ এই বাচ্চাদের বাবা রফিকুল ইসলাম খুবই উচ্ছ্বসিত৷পাবনার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই শিক্ষক বলেন, ‘‘চিকিৎসকেরা আমার সন্তানদের আলাদা করেছেন৷ আমি নিজের চোখে তাদের দেখেছি, ওরা এখন ভালো আছে৷''

চিকিৎসকদের প্রশংসা করে রফিকুল বলেন, ‘‘আমি আশা করছি আমার সন্তানরা পুরোপুরি সুস্থ্ ও ঠিকভাবে বেড়ে উঠে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে৷'' অপারেশন শুরুর আগে চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন অস্ত্রপচারের পর রাবেয়া-রোকাইয়ার ৫০ শতাংশ বেঁচে থাকার সম্ভাবনা থাকবে৷

হাঙ্গেরির  দাতব্য সংস্থা অ্যাকশন ফর ডিফেন্স পিউপল ফাউন্ডেশন  হাঙ্গেরিসহ অনেক দেশে গরীব লোকদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিয়ে আসছে৷ রাবেয়া-রোকাইয়ার বাবা মা ২০১৭ সালে সংস্থাটির কাছে সহায়তা চান৷ অন্যান্য হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল ঘুরে ২০১৭ সালের ২১ নভেম্বর ঢাকা মেডিকেলের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয় রাবেয়া ও রোকাইয়াকে৷ এ শিশু দুটির বাংলাদেশে এর আগে মস্তিষ্কের রক্তনালিতে দুইবার অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর তাদের পাঠানো হয়েছিল হাঙ্গেরি৷

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য