1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

৫২০ দিনে মঙ্গলগ্রহ যাত্রা

৩ জুন ২০১০

বৃহস্পতিবার, ৩রা জুন শুরু হচ্ছে ‘যাত্রা'৷ মস্কো থেকে মঙ্গলগ্রহ ঘুরে দেড় বছরের মাথায় ‘ঘরে ফেরা'৷ যাত্রী ৬ জন৷ তবে তাঁরা কিন্তু পৃথিবী ত্যাগ করবেন না৷

https://p.dw.com/p/NgEx
একদিন মঙ্গলগ্রহে পা রাখবে মানুষছবি: DW-TV

চাঁদের পর মঙ্গলগ্রহে পা রাখার অদম্য ইচ্ছা মানুষের৷ মানুষ একদিন এই কৃতিত্ব অর্জন করার স্বপ্ন দেখছে৷ কিন্তু চাঁদের তুলনায় মঙ্গলগ্রহ যে বড় দূরে! যাতায়াত করা মোটেই সহজ হবে না৷ যাওয়া-আসা এবং মঙ্গলগ্রহে মাসখানেক কাটিয়ে আসতে হলে প্রায় দেড় বছর লেগে যেতে পারে৷

মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির বিশাল উন্নতি ঘটে চললেও এখনই মঙ্গলগ্রহে মানুষ পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না৷ কিন্তু যখন এমন যান তৈরি হবে, ততদিনে কি মানুষ নিজেকে এমন দীর্ঘ ও কঠিন যাত্রার জন্য উপযুক্ত করে তুলতে পারবে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে এক অভিনব পরীক্ষা৷

Simulierte Mars-Mission Mars500
মঙ্গল যাত্রার মহড়ার কন্টেনারছবি: picture-alliance/dpa

মস্কোর একটি কন্টেনার'এর মধ্যে সম্ভাব্য মঙ্গল-যানের পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে৷ ৬ জন আরোহী তার মধ্যে প্রবেশ করবেন৷ বেরোতে পারবেন ৫২০ দিন পর৷ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা ধরে তাঁদের উপর নজর রাখা হবে৷ মহাকাশযান উৎক্ষেপণের ধাক্কা বা মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আওতার বাইরে থাকার মত অবস্থা কৃত্রিমভাবে প্রস্তুত করা না গেলেও বাকি প্রায় সব ক্ষেত্রেই এই ‘যাত্রা' হুবহু আসল মঙ্গল অভিযানের মতই হবে৷ ৫২০ দিন ধরে এই ‘অভিনেতা' মহাকাশচারীদের উপর প্রায় ১০০ পরীক্ষা চালানো হবে৷

Ende einer Simulation eines Mars Flugs in Moskau
২০০৯ সালেই ১০৫ দিনের এক মঙ্গল যাত্রার মহড়া হয়েছিলছবি: picture-alliance/ dpa

রাশিয়া, চীন, ফ্রান্স ও ইটালির ৬ ব্যক্তি স্বেচ্ছায় এই দীর্ঘতম পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন৷ মাত্র ১৮০ বর্গ মিটার জায়গায় তাঁদের দেড় বছর কাটাতে হবে৷ এমন কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা কেমন হবে, তার উপর লক্ষ্য রাখা হবে৷ বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় শুধু কাজে ডুবে থাকলে তাঁরা মানসিক অবসাদে ডুবে যাবেন কি না, তাও জানা যাবে৷

এই পরীক্ষা এতটাই বাস্তবসম্মত হবে যে এমনকি কন্টেনার থেকে বহির্বিশ্বে বার্তা পাঠাতে বা গ্রহণ করতে ২০ মিনিট সময় লাগবে – মঙ্গলগ্রহ থেকে পৃথিবীতে সঙ্কেত পাঠাতেও ঠিক এমনই সময় লাগে৷ প্রায় ৪ টন খাবার ও পানীয়ও কন্টেনারে রাখা হয়েছে৷ এই রসদ দিয়েই তাঁদের দেড় বছর ‘সংসার' চালাতে হবে৷ এই সময়কালে যাত্রীদের উপর নিয়মিত ডাক্তারি পরীক্ষা চালানো হবে৷ রওনা হওয়ার আগে ও পরে তাদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার তুলনা করা হবে৷ এই পরীক্ষা শেষ হলে সম্ভাব্য মঙ্গল যাত্রার প্রস্তুতি বিশাল এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই