1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

৯২’র বিশ্বকাপের প্রতিশোধ নিলো পাকিস্তান

২৪ মার্চ ২০১১

দশ উইকেটের বড় ব্যবধানে কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারালো পাকিস্তান৷ জায়গা করে নিলো সেমিফাইনালে৷

https://p.dw.com/p/10gZo
ছবি: picture alliance/dpa

ঢাকার শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং এ নেমে ৪৩ ওভার ৩ বলে ১১২ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ৷ তারপর খুব সহজেই ২০ ওভার ৫ বলেই জয়ের লক্ষ্য ১১৩ রানে পৌঁছে যায় পাকিস্তান৷ এর জন্য তাদের একটি উইকেটও হারাতে হয়নি৷ ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে এভাবে হারবে সেটা বোধহয় কেউই ভাবতে পারেনি, সুতরাং এটা অপ্রত্যাশিতই৷ বিশেষ করে কোয়ার্টার ফাইনালের মত ম্যাচে৷

বিশ্বকাপে ১০ উইকেটের দশম জয় এটি৷ আর পাকিস্তানের জন্য প্রথম৷ অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য এটি একটি বড় পরাজয়৷ কেননা, এই প্রথম বিশ্বকাপে ১০ উইকেটে হার মানলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ৷ তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে ঘটেছিল এর ঠিক উল্টোটা৷ সেইবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ১০ উইকেটে হেরেছিল পাকিস্তান৷ এক হিসেবে এটি প্রতিশোধ বলা চলে৷ অন্যদিকে এবারের বিশ্বকাপের আর কোন খেলায় উদ্বোধণী জুটিতে এত রান তুলতে পারেনি পাকিস্তান৷

জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের ওপর চড়াও হন পাকিস্তানের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হাফিজ ও কামরান আকমল৷ কেমার রোচ, রবি রামপল, দেবেন্দ্র বিশু ও অধিনায়ক ড্যারেন সামিকে কোন সুযোগই দেননি তারা৷ জয় শেষে হাফিজ যখন সাজঘরে ফেরেন তখন তার রান ছিল ৬১৷ হাফিজ তার ৬৪ বলের ইনিংসটি সাজান ১০টি চার দিয়ে৷ বিশ্বকাপে তার প্রথম অর্ধশতক এটি৷ অন্যপ্রান্তে ৪৭ রানে অপরাজিত ছিলেন কামরান৷ তার ৬১ বলের ইনিংসে ৪ রয়েছে ৭টি৷ এরআগে ব্যাট করতে নেমে ১৪ রানের মাথায় প্রথমেই সাজঘরের পথ ধরতে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল৷ তারপরেই শুরু হয়ে যায় ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়া৷ ৭১ রানের মধ্যে ৮ উইকেট হারায়৷ তখন দলের রান ১০০ হবে কিনা তা নিয়েই শন্কা দেখা যায়৷ কিন্তু চন্দরপালে ৪৪ রানের কল্যানে একশ'র ঘর পার হয় ক্যারিবীয়রা৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম