1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

৯/১১-র জন্য দায়ী আল-কায়েদা, ধর্ম নয়: ওবামা

১২ সেপ্টেম্বর ২০১০

শনিবার যুক্তরাষ্ট্রে পালিত হলো বিখ্যাত নাইন ইলেভেন৷ ২০০১ সালের পর এবারের নাইন ইলেভেন ছিল সবচেয়ে বেশি আলোচিত৷ এর মূল কারণ দুটি৷

https://p.dw.com/p/PA1k
৯/১১-র নিহতদের প্রতি ওবামার শ্রদ্ধাছবি: AP

এক, গ্রাউন্ড জিরোর কাছে মসজিদ নির্মাণ৷ আর দুই, নাইন ইলেভেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘোষণা৷ এর মধ্যে মসজিদ নির্মাণের পক্ষে কথা বলায় জনপ্রিয়তা কমে গেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার৷ আর কোরআন পোড়ানোর ঘোষণার পর সেটা নিয়ে সারা বিশ্বে সমালোচনার ঝড় ওঠে৷ যদিও শেষ মুহূর্তে কোরআন না পোড়ানোর কথা বলা হয়েছে তারপরও এটা নিয়ে আলোচনা এখনো চলছে৷ গতকাল ফ্লোরিডার যে চার্চে কোরআন পোড়ানোর কথা ছিল সেখানে সকাল থেকেই মানুষ জড়ো হতে থাকে৷ এর মধ্যে একদল ছিল কোরআন পোড়ানোর পক্ষে আর অন্যদলটি বিপক্ষে৷ কিন্তু চার্চের আশেপাশে ছিল পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি৷

নাইন ইলেভেন উদযাপন

তিন জায়গায় স্মরণ করা হয়েছে নিহতদের৷ যে জায়গাগুলোতে বিমান হামলা হয়েছিল৷ এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক লোক মারা গেছে যে জায়গায় সেই টুইন টাওয়ারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ আর অপেক্ষাকৃত কম লোক নিহত হয়েছে যে জায়গায় সেই পেন্টাগনের অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রেসিডেন্ট ওবামা৷ সেখানে তিনি বলেন, অ্যামেরিকান হওয়ার কারণে আমরা কখনো ইসলামের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাবনা৷ এছাড়া তিনি বলেন, ‘‘কোনো ধর্ম টুইন টাওয়ারে হামলা চালায়নি৷ হামলা করেছিল আল কায়েদা৷ যারা ধর্মকে বিকৃত করেছে৷'' এছাড়া অ্যামেরিকানদের আরও ধৈর্য্যশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ওবামা৷ তিনি বলছেন, ‘‘বিশ্বের সকলকে আমরা ধৈর্য্যশীল হতে বলি৷ তাই আমাদের উচিত নিজেদের আগে ধৈর্য্যশীল হওয়া৷'' তৃতীয় স্মরণসভাটি হয়েছে পেনসিলভেনিয়ায়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন মিশেল ওবামা ও লরা বুশ৷

টেরি জোনস এখন কোথায়?

নিউ ইয়র্কে৷ গ্রাউন্ড জিরোর কাছে মসজিদ নির্মাণ বন্ধ করতে বা সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে তিনি সেখানে গেছেন৷ ঐ মসজিদ প্রকল্পের যিনি প্রধান তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান টেরি জোনস৷ এদিকে নাইন ইলেভেনের সকালে এনবিসি টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, আজ কোরআন পোড়ানো হবেনা, এবং কখনো না৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়