1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন গুনছেন লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিরা

২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১

লিবিয়া প্রবাসীদের পরিবার পরিজন ঢাকায় চরম উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন৷ তারা জানিয়েছেন, কিছু বাংলাদেশি লিবিয়া থেকে মিশর সীমান্তে আশ্রয়ের জন্য গেলেও তাদের অবস্থাও ভাল নয়৷

https://p.dw.com/p/10PnN
লিবিয়ায় অবস্থানরত একজন বাংলাদেশির ছবি (ফাইল ফটো)ছবি: privat

অনেকে পাসপোর্ট হারিয়ে চরম বিপদে পড়েছেন৷ সরকার কোন উদ্যোগ না নিলে লিবিয়ার প্রতিবেশী দেশে যেয়েও বিপদ থেকে বাঁচা যাবেনা৷

মানসুরা মাহমুদ রিতা৷ তিন সন্তান নিয়ে বসবাস করেন ঢাকার দক্ষিণ কমলাপুরের ১৬ নম্বর বাড়িতে৷ লিবিয়ায় গাদ্দাফি বিরোধী আন্দোলন এবং সহিংসতা শুরু হওয়ার পর তাদের পরিবার চরম আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে৷ কারণ রিতার স্বামী খালিদ মাহমুদ লিবিয়ায় বসবাস করেন৷ এতদিন যোগাযোগও বন্ধ ছিল৷ গত দুই দিন হল তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ হচ্ছে৷ তাও খালিদ মাহমুদ ফোন করলে ঢাকায় তার পরিবারের সদস্যরা কথা বলতে পারেন৷ ঢাকা থেকে ফোন করে সহজে পাওয়া যায়না৷

খালিদ মাহমুদ ত্রিপোলি থেকে বেনগাজি হয়ে প্রায় ১,৪০০ কিলোমিটার দূরে লিবিয়ার দেরনা মারতুবা এলাকায় থাকেন৷ এটি মিশর সীমান্তের কাছাকাছি৷ তিনি সেখানে আছেন ১৯৯৯ সাল থেকে৷ বড় কোন কারখানা নয়, সেখানকার ব্যক্তিমালিকানাধীন একটি ওয়েল্ডিং কারখানায় কাজ করেন৷ রিতা ডয়চে ভেলেকে জানান, তাঁর স্বামী তাঁকে সেখানকার ভয়াবহ পরিস্থিতি জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে তাদের উদ্ধারের ব্যবস্থা করার আবেদন জানিয়েছেন৷

রিতা তাঁর স্বামীকে উদ্ধৃত করে জানান, দেরনা মারতুবা এলাকার কিছু বাংলাদেশি লিবিয়ার সীমান্ত পার হয়ে মিশরের সীমান্তে অবস্থান করছে৷ কিন্তু তারাও ভাল নেই৷ খালিদ মাহমুদের বড় ছেলে হোসেন মাহমুদ জানান, তাঁর বাবা জানিয়েছেন সেখানকার অনেক বাংলাদেশিরই এখন পাসপোর্ট নেই৷ ফলে তারা সবচেয়ে বেশী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে৷ তাঁর ছোট ছেলে আবিদ মাহমুদ তার বাবাসহ লিবিয়ায় যেসব বাংলাদেশি রয়েছে, তাদের উদ্ধারের দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন জানান৷

খালিদ মাহমুদের পরিবারের সদস্যরা জানান, সরকারের উদ্যোগ ছাড়া সীমান্ত পার হয়ে প্রতিবেশী দেশে আশ্রয়ের জন্য গেলেও বিপদ কাটবেনা৷ নতুন করে বিপদে পড়তে হবে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান