1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অবশেষে কিয়েভ-বার্লিন বরফ গলছে

৬ মে ২০২২

রাশিয়ার হামলার মুখে ইউক্রেনকে সহায়তা করলেও জার্মানির শীর্ষ স্তরের নেতারা এখনো কিয়েভ সফরে যাননি৷ অবশেষে সেই কূটনৈতিক অস্বস্তি কাটিয়ে ইউক্রেন ও জার্মানির প্রেসিডেন্টের মধ্যে টেলিফোনে আলোচনা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/4Atrt
২০১৯ সালে তোলা এই ছবিতে জেলেন্সকি ও স্টাইনমায়ারকে দেখা যাচ্ছেছবি: The Presidential Office of Ukraine

খোদ প্রেসিডেন্ট অবাঞ্ছিত হলে রাষ্ট্রের অন্য নেতারা কীভাবে কোনো জায়গায় যেতে পারেন? এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ারের পরিকল্পিত কিয়েভ সফর এমন কারণে বাতিল হবার পর চ্যান্সেলর শলৎস ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যরাও তাই ইউক্রেন অভিমুখে না যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন৷ অতীতে স্টাইনমায়ারের ‘পুটিন প্রীতি’ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি পছন্দ নয় বলেই এমন জটিলতার সূত্রপাত৷ অথচ রাশিয়ার হামলার মুখে জার্মানির মতো গুরুত্বপূর্ণ দেশের সহায়তাও ইউক্রেনের জন্য জরুরি৷ অবশেষে সংকটের মাঝে কূটনৈতিক বরফ গলার প্রক্রিয়া শুরু হলো৷

জার্মানির প্রথম গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে চলতি সপ্তাহে কিয়েভ সফরে গিয়েছিলেন সংসদে প্রধান বিরোধী ইউনিয়ন শিবিরের নেতা ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস৷ জেলেন্সকির সঙ্গে অপ্রত্যাশিত সাক্ষাতের সময় তিনি জার্মান প্রেসিডেন্টকে ঘিরে বর্তমান অস্বস্তি কাটিয়ে তোলার বিষয়েও কথা বলেন৷ তবে শুধুমাত্র ম্যার্ৎসের উদ্যোগের কারণেই জেলেনস্কি সুর নরম করেছেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়৷ যাই হোক, বৃহস্পতিবার টেলিফোনে জেলেনস্কি ও স্টাইনমায়ার প্রায় ৪৫ মিনিট কথা বলেন৷ সেই আলোচনার পর চ্যান্সেলর শলৎস ঘোষণা করেন, যে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক ‘অদূর ভবিষ্যতে’ কিয়েভ সফরে যাচ্ছেন৷ জার্মান সংসদের নিম্ন কক্ষ বুন্ডেসটাগের প্রেসিডেন্ট ব্যার্বেল বাসও সপ্তাহান্তে কিয়েভ সফরের ঘোষণা করেছেন৷

জার্মান প্রেসিডেন্টের দফতর জানিয়েছে, যে জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় স্টাইনমায়ার ইউক্রেনের প্রতি সংহতি, শ্রদ্ধাবোধ ও রাশিয়ার আগ্রাসনের মুখে সে দেশের মানুষের সাহসি সংগ্রামের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন৷ জেলেনস্কি স্টাইনমায়ার ও সরকারের সদস্যদের কিয়েভে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন৷ জেলেন্সকি এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, যে তিনি স্টাইনমায়ারকে ইউক্রেনের প্রতি বিশাল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন৷

জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস নিজে এখনো ইউক্রেন সফরের কোনো পরিকল্পনার কথা জানান নি৷ ফ্রান্সের সদ্য পুনর্নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁর সঙ্গে তিনি কিয়েভ যেতে পারেন, এমন এক সম্ভাবনার গুজব শোনা গেলেও আপাতত এর সত্যতা যাচাইয়ের কোনো উপায় নেই৷

কূটনৈতিক মনোমালিন্য সত্ত্বেও শলৎস বার বার বলেছেন, যে তিনি ইউক্রেনের দুর্দিনে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তার প্রশ্নে কোনো আপোশ করতে প্রস্তুত নন৷ অস্ত্র সরবরাহ নিয়ে তাঁর দ্বিধা-দ্বন্দ্ব সম্পর্ক সংশয় সত্ত্বেও শলৎস শেষ পর্যন্ত একের পর এক সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়ে চলেছেন৷ বৃহস্পতিবার চেক প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে ইউক্রেনকে সোভিয়েত আমলের সামরিক সরঞ্জাম পাঠানোর উদ্যোগ নিচ্ছে জার্মানি৷ এর বদলে চেক সেনাবাহিনীর আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রে জার্মানি এক যোথ প্রকল্পে অংশ নিচ্ছে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)