1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অবশেষে ম্যার্কেল-সেহোফার দ্বন্দ্বের অবসান

৮ জুলাই ২০১৮

জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার জানিয়েছেন চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে অভিবাসন নীতি নিয়ে তাঁর দ্বন্দ্বের অবসান ঘটেছে৷ এর আগে শরণার্থী নীতি নিয়ে বিরোধে পদত্যাগেরও হুমকি দিয়েছিলেন তিনি৷

https://p.dw.com/p/312Ye
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Gebert

খ্রিষ্টীয় সামাজিক ইউনিয়ন- সিএসইউর নেতা সেহোফার রোববার জানিয়েছেন, খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দল- সিডিইউয়ের সাথে তাঁর জোট এখন ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করছে৷ দৈনিক পত্রিকা বিল্ডকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘গাড়ির পেছনে দেখার গ্লাসের চেয়ে সামনের উইন্ডস্ক্রিন সবসময়ই বড় হয়৷ আমরা সবসময়ই সে মূল্যবোধে ধরে এগুচ্ছি৷''

ম্যার্কেলের অবস্থান শুধু জার্মানিতেই নয়, পুরো ইউরোপীয় ইউনিয়নে বিপদে ফেলার জন্য দুঃখপ্রকাশে অবশ্য রাজি নন সেহোফার৷

তিনি বলছেন, ‘‘আমাদের কিছু বিষয়ে মতবিরোধ ছিলো৷ কিন্তু কখনই তা ব্যক্তিগত আক্রমণে রূপ নেয়নি৷'' এখন ম্যার্কেলের সাথে একসাথে কাজ করা তাঁর ‘দায়িত্ব' বলেও মন্তব্য করেন সেহোফার৷

সীমান্ত থেকে অবৈধ শরণার্থীদের বিদায় করতে জার্মান নীতি কার্যকরে বদ্ধপরিকর ছিলেন সেহোফার৷ তবে চ্যান্সেলর ম্যার্কেল বারবার বলছিলেন, এর ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চলাচলের স্বাধীনতা বিষয়ক যে মূলনীতি, তা বাধাগ্রস্ত হবে৷

সেহোফার এবং তাঁর সিএসইউ দল একভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে সীমান্তে কড়াকড়ির হুমকিও দিয়েছিলো৷ তখন ধারণা করা হচ্ছিল, চ্যান্সেলরকে এড়িয়ে কোন একক সিদ্ধান্ত নিলে বরখাস্ত হতে পারেন সেহোফার৷

বাভারিয়ায় অক্টোবরের নির্বাচন

এর আগে, কঠোর নীতি গ্রহণ না করলে পদত্যাগ, এবং জোট সরকার ভেঙে দেয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন সেহোফার৷ জোটে সেহোফারের সিএসইউ, ম্যার্কেলের সিডিইউ ছাড়াও মধ্যবামপন্থি সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট -এসপিডিও রয়েছে৷

বৃহস্পতিবার এই তিন দলের নেতাই জার্মানিতে অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে এবং একটি কঠোর নীতি গ্রহণে একমত হন৷

তবে বিরোধীদের অভিযোগ, অক্টোবরে বাভারিয়ার নির্বাচনে কট্টরপন্থি ভোটারদের নিজের দিকে টানতেই শরণার্থী ইস্যুতে এমন কঠোর অবস্থানে গিয়েছেন সেহোফার৷

জার্মানির সবচেয়ে দক্ষিণে অবস্থিত বাভারিয়ান রাজ্যে ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে লাখ লাখ শরণার্থী প্রবেশ করেছেন৷ এরপর থেকে সেখানে শরণার্থীবিরোধী মনোভাব ধীরে ধীরে প্রবল হয়ে উঠেছে৷

বাভারিয়ায় শরণার্থীবিরোধী দল অলটারনেটিভ ফর ডয়েচল্যান্ড- এএফডি এখন ব্যাপক জনপ্রিয়৷ ২০১৭ সালের নির্বাচনে দেশের সবচেয়ে বড় বিরোধী দলের জায়গা দখল করেছে এএফডি৷

এডিকে (এপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য