1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অবশেষে লিসবন চুক্তি কার্যকর হল

১ ডিসেম্বর ২০০৯

১লা ডিসেম্বর ২০০৯ দিনটি ইউরোপের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে৷ এদিন থেকে কার্যকর হল লিসবন চুক্তি৷

https://p.dw.com/p/KnAE
ইউরোপের প্রথম ‘প্রেসিডেন্ট’ বেলজিয়ামের হ্যারমান ফান রম্পইছবি: AP

প্রেক্ষাপট

প্রথমে সংবিধান, তারপর চুক্তি – ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহু প্রয়োজনীয় সংস্কারের লক্ষ্যে গত প্রায় ১ দশক ধরে এক সার্বিক উদ্যোগের পদে পদে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে৷ শীর্ষ নেতারা সংবিধান সম্পর্কে ঐক্যমতে এলেও ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডস-এর মানুষ গণভোটে ঐ সংবিধান প্রত্যাখ্যান করে৷ তারপর প্রস্তাবিত সেই সংবিধানে অনেক কাটছাঁট করে রচিত হয় লিসবন চুক্তি৷ কিন্তু আয়ারল্যান্ডের গণভোটে সেই চুক্তির বিরুদ্ধেও জনগণ রায় দেন৷ তারপর আয়ারল্যান্ডে দ্বিতীয় এক গণভোটে লিসবন চুক্তির পক্ষে রায় পড়ে৷ শেষ বাধার সৃষ্টি করেন চেক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট৷ অবশেষে তাঁরও সম্মতি আদায় করার পর লিসবন চুক্তির অনুমোদনের প্রক্রিয়া শেষ হয়৷ ১লা ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হল এই চুক্তি৷

সুবিধা

লিসবন চুক্তির প্রবক্তাদের প্রধান যুক্তি ছিল, ২৭ সদস্যের এই বিশাল রাষ্ট্রজোট চালু রাখতে হলে অনেক কাঠামোগত পরিবর্তনের প্রয়োজন৷ সেইসঙ্গে এই জোটকে আরও গণতান্ত্রিক করে তোলাও প্রয়োজন, যাতে ইউরোপের নাগরিকদের মনে ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলির আমলাতন্ত্র সম্পর্কে যে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে, তা খানিকটা হলেও দূর করা যায়৷ ইউরোপীয় সংবিধানে যে সব আমূল সংস্কারের প্রস্তাব রাখা হয়েছিল, ঐক্যমতের স্বার্থে তার অনেক অংশই বাদ পড়েছে বটে, কিন্তু ‘নেই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল’ – এই যুক্তিতে শেষ পর্যন্ত লিসবন চুক্তিকেই স্বাগত জানাচ্ছেন সংস্কারের প্রবক্তারা৷

প্রতিক্রিয়া

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের স্পিকার ইয়েশি বুসেক বলেন, লিসবন চুক্তি কার্যকর হওয়ার ফলে গণতন্ত্রের ভিত আরও মজবুত হল৷ পার্লামেন্টের ক্ষমতা আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেল৷ ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ক্ষেত্রেও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সাংসদরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন৷ ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জোসে মানুয়েল বারোসো বলেন, এর ফলে অবশেষে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির প্রতি মনোযোগ দেওয়ার জন্য ইউরোপে প্রয়োজনীয় স্থিতিশীলতা এল৷ অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলার মত প্রশ্নে ইউরোপীয় স্তরে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা অনেক সহজ হয়ে উঠল৷ বহির্জগতের কাছেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন অনেক স্পষ্ট এক চরিত্র তুলে ধরতে পারবে৷ মঙ্গলবার থেকে ইউরোপের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেলজিয়ামের হ্যারমান ফান রম্পই এবং ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ব্রিটেনের ক্যাথরিন অ্যাশটন ইউরোপের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন৷ ঐতিহাসিক এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লিসবনে পালিত হচ্ছে এক বর্ণাঢ্য উৎসব৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন, সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল ফারূক