1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অভিবাসীদের স্বর্গ জার্মানি

২২ মে ২০১৪

ঠিক স্বর্গ নয়, কিন্তু উপস্বর্গ বলা চলে, কেননা স্বর্গ বলতে আজও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র৷ তবে ওইসিডি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১২ সালে জার্মানি ছিল ঈপ্সিত দেশ হিসেবে দ্বিতীয়৷ সে'বছর জার্মানিতে পাড়ি জমান চার লাখ অভিবাসী৷

https://p.dw.com/p/1C3vW
Symbolbild Armutsmigration Europa
ছবি: imago/epd

অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংগঠন ওইসিডি-র বিবরণে অভিবাসনের ক্ষেত্রে জার্মানি ওইসিডি-র ৩৪টি দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে৷ ২০১২ সালে জার্মানিতে যে সব অভিবাসীদের আগমন ঘটে, তাঁদের অধিকাংশ আসেন রোমানিয়া, বুলগেরিয়া এবং পোল্যান্ড থেকে৷ এছাড়া কিছু মানুষ আসেন দক্ষিণ ইউরোপের সংকট-পীড়িত দেশগুলি থেকে৷

অভিবাসনের ধারা যে কোনদিকে বইবে, তা আগে থেকে বলা শক্ত এবং তার নানা কারণ থাকতে পারে৷ ব্রিটেনে ২০১২ সালে তিন লাখ অভিবাসী নথিভুক্ত করা হয়েছে: এই সংখ্যা ২০০৩ সাল যাবৎ নিম্নতম৷ স্পেন আর ইটালিতেও অভিবাসীদের আগমনের সংখ্যা কমেছে লক্ষণীয়ভাবে: ২০১১ সালের তুলনায় যথাক্রমে ২২ ও ১৯ শতাংশ৷

ইইউ-বহির্ভূত দেশগুলি থেকে অভিবাসীদের আগমন ২০০৮ সালের বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকট যাবৎ কমেই চলেছে৷ অপরদিকে এই নতুন অভিবাসীদের আগমনের ফলে সরকারি তহবিলের উপর বিশেষ চাপ পড়েনি৷ অভিবাসীদের শিক্ষাদীক্ষাও মন্দ নয়, বলে জানিয়েছে ওইসিডি৷ এ সব সত্ত্বেও ইউরোপ জুড়ে অভিবাসন-বিরোধী দলগুলি সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ বর্ধিত করার ডাক দিয়ে চলেছে৷ আগামী সপ্তাহে ইউরোপীয় সংসদের নির্বাচনে তাদের ভোটের সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে৷ এক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশের দক্ষিণপন্থিদের ধারণা আলাদা৷

নেদারল্যান্ডসে গের্ট উইল্ডার্স-এর স্বাধীনতা দল মুসলিম দেশগুলি থেকে অভিবাসন বন্ধ করার ডাক দিয়েছে৷ ফ্রান্সের উগ্র দক্ষিণপন্থি ন্যাশনাল ফন্ট দল নতুন অভিবাসীদের সংখ্যা দশ হাজারে সীমিত রাখতে চায়৷ জার্মানির ক্ষেত্রে তার শিল্প-অর্থনীতি এবং জনসংখ্যাগত কারণে অভিবাসন অপরিহার্য: এখন যে সেই অভিবাসীরা অধিতকতর পেশাগত দক্ষতা নিয়ে আসছেন এবং আরো তাড়াতাড়ি কাজ পাচ্ছেন, তা-তে স্বভাবতই অভিবাসনের পরিমাণ এক বছরে – ২০১১ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে – ৩৮ শতাংশ বাড়া সত্ত্বেও জার্মানিতে কাউকে বিশেষ চিন্তিত দেখা যাচ্ছে না৷

এসি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য