1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অর্থনীতিতে প্রথম নোবেলজয়ী নারী অস্ট্রম

১২ অক্টোবর ২০০৯

অর্থনীতিতে ২০০৯ সালের নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করল রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি৷ অর্থনৈতিক প্রশাসন গবেষণার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য নোবেল পাচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই অর্থনীতিবিদ এলিনর অস্ট্রম ও অলিভার উইলিয়ামসান৷

https://p.dw.com/p/K4mt
২০০৯ সালের দুই নোবেলজয়ী – অস্ট্রম এবং উইলিয়ামসনছবি: AP

১৯৬৮ সাল থেকে অর্থনীতির ক্ষেত্রেও নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়৷ এলিনর অস্ট্রম-এর নাম ঘোষিত হওয়ায় এই প্রথম কোন নারী এই ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কার পেলেন৷ এর আগে মোট ৬২ জন এই পুরস্কার পেয়েছেন৷ নোবেল কমিটির মতে, অস্ট্রম এবং উইলিয়ামসন –এই দু’জনের গবেষণার মাধ্যমেই দেখা যাচ্ছে, যে অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে সামাজিক স্তরে প্রায় সব সংগঠনের স্বরূপ আরও স্পষ্ট হয়ে উঠতে পারে৷ গত ৩ দশকেরও বেশী সময় ধরে তাঁদের এই অবদান অর্থনৈতিক প্রশাসন গবেষণাকে এক বৈজ্ঞানিক মাত্রা এনে দিয়েছে৷ প্রায় ১৪ লক্ষ ইউরো অর্থমূল্যের এই পুরস্কার তাঁরা ভাগ করে নেবেন৷

এলিনর অস্ট্রম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা রাজ্যের ব্লুমিংটনে ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত৷ মালিকদের সংগঠন কীভাবে যৌথ-সম্পত্তি পরিচালনা করতে পারে, অস্ট্রম তাঁর পথ বাতলে দিয়েছেন৷ সামগ্রিকভাবে সাধারণ স্তরে যে অর্থনৈতিক কাঠামো চালু রয়েছে, তার প্রশাসনিক দিকটিও তুলে ধরেছেন তিনি৷ অর্থনৈতিক লেনদেন যে শুধু কোম্পানির স্তরেই সীমাবদ্ধ নয় – বিভিন্ন সংগঠন, সংস্থা ও সাধারণ মানুষের সংসারেও ঘটে থাকে, অস্ট্রমের গবেষণায় তার স্বরূপ ফুটে উঠেছে৷ ফলে মানব সমাজ সামগ্রিকভাবে যে প্রক্রিয়ায় সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে থাকে, তার একটা সার্বিক চিত্র উঠে এসেছে৷ চিরায়ত অর্থনীতির তত্ত্ব অনুযায়ী এতদিন দাবি করা হত, যে মাঠ-ঘাট, জঙ্গল বা মৎস্যের মত প্রাকৃতিক সম্পদের কোন স্পষ্ট মালিক না থাকার ফলে এই ধরনের সম্পদের মাত্রাতিরিক্ত উপযোগ হয়ে থাকে৷ ফলে কর চাপিয়ে বা আইন প্রণয়ন করে ঐ ধরনের সম্পদের ব্যবহার সীমিত করে দিয়ে সমস্যা সমাধানের পথ বাতলে দেওয়া হত৷ অস্ট্রম বলছেন, যে সব ক্ষেত্রে বাজারের নিয়ম কাজ করছে না, সেই সব ক্ষেত্রে মানুষ ঠিকই এমন কোন সমাধান খুঁজে নেয়, যাতে প্রাকৃতিক সম্পদ নিঃশেষ না হয়ে যায়৷ যেমন মঙ্গোলিয়া এবং চীনের সংলগ্ন অঞ্চলে বিস্তীর্ণ ক্ষেত্রে পশুপালকরা ঐতিহ্য অনুযায়ী ছোট ছোট গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত ঐ জমি ব্যবহার করে এসেছে৷ অথচ সেক্ষেত্রে প্রাকৃতিক সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হয় নি৷ কিন্তু রাশিয়া ও চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সমবায় এবং পরে ব্যক্তিগত মালিকানার আওতায় যে জমি ব্যবহার করা হয়েছে, তার অবস্থার অনেক অবনতি ঘটেছে৷

অলিভার উইলিয়ামসন শিল্প-বাণিজ্য ক্ষেত্রে সঙ্কটের সমাধানের এক অভিনব তত্ত্ব পেশ করেছেন৷ এই ধরনের সংস্থার সীমাবদ্ধতার বিষয়টিও তাঁর কাজের মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে গেছে৷ সঙ্কট মোচনের ক্ষেত্রে ব্যবসা যে কাঠামো হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে, উইলিয়ামসন তা দেখিয়ে দিয়েছেন৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন, সম্পাদনা:হোসাইন আব্দুল হাই