1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অর্থনৈতিক চুক্তির বিষয়ে চীন-তাইওয়ান বৈঠক

১৪ নভেম্বর ২০০৯

চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিন্তাও তাইওয়ানের সঙ্গে অর্থনৈতিক চুক্তির বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনার সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছেন৷ চলতি বছরের শেষেই এবিষয়ে আলোচনা শুরু হতে পারে৷

https://p.dw.com/p/KX5D
চীনা প্রেসিডেন্ট হু জিন্তাউ এবং তাইওয়ানের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট লিয়েন চ্যানছবি: AP

এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক জোট অ্যাপেক'র শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে এসে হু জিন্তাও তাইওয়ানের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট লিয়েন চ্যান'এর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন৷ মূলত বেশ আগে থেকেই এ বিষয়ে দুপক্ষের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক কথা-বার্তা চলে আসছে৷ কিন্তু চীন এবং তাইওয়ানের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মধ্যে বৈঠক না হওয়ায় এতদিন পর্যন্ত অর্থনৈতিক চুক্তির বিষয়টি স্থবির হয়েছিল৷ বিশ্লেষকরা বলছেন, ১৯৪৯ সালে গৃহযুদ্ধের ফলে দুই দেশের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টির পর এটিই প্রথম বিদেশের মাটিতে উচ্চ পর্যায়ের দ্বি-পাক্ষিক বৈঠক৷

হু জিন্তাও এর সঙ্গে বৈঠকে চ্যান বলেন, তাইপে চীনের বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানায়৷ এছাড়া অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও বড় আকারের আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে আসায় বেইজিংকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি৷ তাইওয়ানের সরকারি বার্তা সংস্থা সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি এই খবর দিয়েছে৷ এদিকে চীনা বার্তা সংস্থা জিনহুয়া জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট হু জিন্তাও চ্যানকে বলেছেন, বর্তমানে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ রয়েছে৷ বৈঠকের পর লিয়েন চ্যান বলেন, এই বছরের শেষ নাগাদ অর্থনৈতিক সহযোগিতা কাঠামো চুক্তি - ইসিএফএ'র বিষয়ে সমঝোতা প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে আমাদেরকে যথাযথ উদ্যোগ নিতে হবে৷ চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে চ্যানের বরাত দিয়ে এই খবর প্রচার করা হয়েছে৷ তবে স্থানীয় সাংবাদিকদের চ্যান বলেন যে, আগামী বছরের শুরুর দিকে এই চুক্তি চূড়ান্ত হবে৷

চুক্তির পক্ষে বিপক্ষে মত

তাইওয়ান সরকারের মতে, এই চুক্তির মাধ্যমে দ্বীপ রাষ্ট্রের বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান শুল্ক এবং বাধামুক্ত ব্যবসা করার মধ্য দিয়ে বেশ লাভবান হবে৷ এর ফলে তাইওয়ান প্রণালী জুড়ে পণ্য এবং মানব সম্পদের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে৷ তবে চীনের কাছ থেকে তাইওয়ানের স্বাধীনতার সমর্থক সেখানকার বিরোধী দল গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল দল - ডিপিপি বলছে, এই চুক্তি তাইওয়ানের ক্ষমতা সংকুচিত করে দেবে৷ এছাড়া মূল ভূখণ্ডের সাথে ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক আলোচনার ক্ষেত্রে স্থানীয় সরকারের মর্যাদায় নেমে আসবে৷ চ্যান তাইওয়ানের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন৷ চীনের চাপের মুখে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন না৷

অ্যাপেক বৈঠক উপলক্ষ্যে সিঙ্গাপুরে ওবামা

এদিকে, অ্যাপেক'এর সদস্য দেশসমূহের সাথে মুক্ত বাণিজ্য ত্বরান্বিত করার লক্ষ্য নিয়ে সিঙ্গাপুরে পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে টোকিও থেকে সিঙ্গাপুর যান ওবামা৷ ২১ জাতির অ্যাপেক শীর্ষ বৈঠকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় মিত্র দেশসমূহের সাথে বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বের চুক্তি তথা টিপিপি সম্পাদনের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে চায় ওয়াশিংটন৷ এমন কথাই বললেন প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রধান বাণিজ্য উপদেষ্টা রন কির্ক৷ কির্ক বলেন, ‘‘আমাদের সবার অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থেই ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী বাধাসমূহ - যা এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহের অর্থনীতিক স্থবির করে দেয় - তা দূর করতে হবে৷''

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই, সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন