1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অস্ট্রেলিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে ‘চুরি যাওয়া প্রজন্মের' মামলা

২৯ এপ্রিল ২০২১

অস্ট্রেলিয়ার ৮০০ আদিবাসী ও তাদের বংশধররা সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন৷ পূর্বপুরুষ ও তাদের সঙ্গে হওয়া অবিচারের ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন তারা৷

https://p.dw.com/p/3siWP
Australien | Aborigines |  Kinder | Stolen Generations
ছবি: picture-alliance/dpa/T. Trewin

১৯৭০ এর দশক পর্যন্ত অন্তর্ভুক্তি নীতির অধীনে অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী শিশুদের তাদের বাড়ি থেকে নিয়ে শ্বেতাঙ্গ পরিবারে বড় করার বিধান চালু ছিল৷ কয়েক হাজার আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দা এমন নীতির শিকার হয়েছেন৷ তারা পরিচিত ‘স্টোলেন জেনারেশন' বা চুরি যাওয়া প্রজন্ম হিসেবে৷ এই ভুক্তভোগীরা কখনও সরকারের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পাননি৷

মামলায় বাদী হওয়া ৮০০ জনকেও শিশুকালে তাদের পরিবার থেকে জোরপূর্বক বিচ্ছিন্ন করা হয়৷ আইনী প্রতিষ্ঠান শাইন লইয়ার্স বুধবার তাদের পক্ষে এই মামলাটি করেছে৷ আরো কয়েক হাজার ভুক্তভোগী ভবিষ্যতে এই মামলায় যুক্ত হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ প্রতিষ্ঠানটি পরামর্শক ট্রিস্টান গ্যাভেন বলেন, ‘‘স্বীকৃতি ব্যতিত তাদের ভবিষ্যতের উন্নয়ন সম্ভব নয়৷''

২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী, কেভিন রুড শিশুদের জোরপূর্বক পরিবার থেকে বিচ্ছিন্নের জন্য আদিবাসী গোষ্ঠীর কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন৷ সেসময় তিনি বলেন, অতীতে যে অবিচার হয়েছিল তার পুনরাবৃত্তি আর কখনও হবে না৷ এই ঘটনা মূলত ঘটেছে উনিশ শতক জুড়ে৷ তবে কিছু জায়গায় ১৯৭০ এর দশক পর্যন্ত মিশ্র বর্ণের শিশুদেরও তুলে নেয়া হত৷ ৮৪ বছর বয়সী হেথার অ্যালির সেই স্মৃতি এখনও মনে আছে৷ অস্ট্রেলিয়ার নর্দার্ন টেরিটোরির এই বাসিন্দাকে নয় বছর বয়সে তার মায়ের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল৷ ‘‘তারা গোটা একটি প্রজন্মকে এমনভাবে মুছে দিয়েছে, যেন তাদের কোন অস্তিত্বই ছিল না৷ আমি আইনী প্রক্রিয়ায় যোগ দিয়েছি কারণ আমি মনে করি আমাদের কাহিনী প্রকাশ হওয়া উচিত'',  বলেন অ্যালি৷

অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি রাজ্যে ভুক্তভোগী আদিবাসীদের জন্য কিছু কর্মসূচী থাকলেও ফেডারেল সরকার বরাবরই ক্ষতিপূরণের বিষয়টি এড়িয়ে গেছে৷ গত বছর সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল এমন কোন উদ্যোগ নেয়ার আইনী বাধ্যবাধকতা সরকারের নেই৷ বুধবারের মামলায় ক্ষতিপূরণ বিষয়টি নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি৷ জুনে মামলার প্রাথমিক শুনানি শুরু হতে পারে৷

মার্সেল নাদিম আবুরাকিয়া/এফএস