1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান পর্যটকদের ফিরিয়ে আনতে জরুরি উদ্যোগ

১৭ মার্চ ২০২০

করোনা ভাইরাস আতঙ্কের মধ্যে নানা দেশে আটকে পড়া নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করছে জার্মান সরকার৷ একইসঙ্গে জার্মানদের দেশ ছাড়ার ওপরও আনুষ্ঠানিক সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3ZZo4
ছবি: Reuters/K. Pempel

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা ভাইরাসকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করছে৷  ভাইরাসের বিস্তার রোধে একের পর এক দেশ সীমান্ত বন্ধ দিচ্ছে৷ হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল হয়ে গেছে৷

এদিকে, জার্মানি এখন করোনা ভাইরাসের ‘উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে৷ দেশটির সরকারের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান রবার্ট কখ ইনস্টিটিউট মঙ্গলবার ঝুঁকির নতুন এই মাত্রা নির্ধারণ করেছে৷ দুই বছর পর্যন্ত মহামারী পরিস্থিতি বিরাজ করবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি৷ জার্মানিতে বর্তমানে সাত হাজার মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত৷

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস দেশের বর্তমান পরিস্থিতকে ‘স্নায়ু যুদ্ধে’ সময়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন৷

তিনি বলেন, ‘‘জরুরি এ প্রকল্পের জন্য সরকার পাঁচ কোটি  ইউরোর তহবিল ঘোষণা করেছে৷ এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য নানা দেশে আটকে পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা৷’’

তিনি পর্যটকদের ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়ে আরো বলেন, ‘'আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সবাইকে ফেরাতে পারবো না৷ তাই তাদের অপেক্ষা করা উচিত৷’’

মূলত মরক্কো, ডমিনিকান রিপাবলিক, ফিলিপাইন, মালদ্বীপ ও মিশরে কয়েক হাজার জার্মান পর্যটক আটকা পড়ে আছেন৷ বিশেষ ফ্লাইটে তাদের দেশে আনতে সরকার এয়ারলাইনগুলোর সঙ্গে চুক্তি করেছে৷

Infografik Karte Corona-Virus Gestrandete Deutsche werden zurückgeholt EN

জার্মানির লুফথানসা এবং ইউরোউইংস বিশেষ ফ্লাইটে ক্যারিবিয়ান ও ক্যানারি আইল্যান্ড থেকে প্রায় সাড় ছয় হাজার জার্মান পর্যটককে ফিরিয়ে আনতে চায়৷

করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া আটকাতে মরক্কো সরকার অনেকটা আচমকাই তাদের আকাশ ও সমুদ্র সীমান্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে৷ গত ১৫ মার্চ থেকে ওই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে৷  ফলে হাজার হাজার পর্যটক দেশটিতে আটকা পড়েছেন৷ যাদের মধ্যে চার থেকে পাঁচ হাজার জার্মান পর্যটক৷

জার্মান পর্যটকদের সাধারণ নিয়মই দেশে ফিরিয়ে আনা হবে৷ তাদের কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে কিনা সে বিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি৷

জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সোমবার দেশের সব নাগরিককে দেশে বা বিদেশে ছুটি কাটানোর সব পরিকল্পনা বাতিল করে ঘরের ভেতর থাকার এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন৷

জার্মানির মত তুরস্ক সরকারও ইউরোপের নয়টি দেশে আটকা পড়া সাড়ে তিন হাজারের বেশি নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছে৷ টার্কিশ এয়ারলাইন্সের ৩০টির বেশি বিশেষ ফ্লাইটে করে তাদের মঙ্গলবার দেশে নেওয়ার কথা৷ দেশে ফেরা সবাইকে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে৷

এসএনএল/কেএম