1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল ৩৪তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার

২৬ জানুয়ারি ২০১০

ইএম বাইপাসের ধারে মিলন মেলা প্রাঙ্গনে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং কলকাতার মেয়র বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে, প্রথামাফিক হাতুড়ি ঠুকে মেলার উদ্বোধন করলেন মেক্সিকোর নোবেলজয়ী সাহিত্যিক ভলবি লুই এসকালান্তে৷

https://p.dw.com/p/Lggp
কলকাতা বইমেলা শুরু হলো (ফাইল ফটো)ছবি: DW

বইমেলার এবারের থিম দেশ মেক্সিকো৷ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর ল্যাটিন অ্যামেরিকা প্রীতির কথা সুবিদিত হওয়ায় এমন থিম নির্বাচন আর বিস্ময় জাগায় না৷ সরকারিভাবে যদিও জানানো হচ্ছে, মেক্সিকো বিপ্লবের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষেই এই সিদ্ধান্ত৷ তবে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের ৬০ বছরে জাতীয় সাহিত্য এবারের কলকাতা বইমেলার কেন্দ্রীয় বিষয় হতেই পারত৷ রবীন্দ্রনাথের ১৫০-তম জন্মবর্ষে, রবীন্দ্রসাহিত্যও হতে পারত বাঙালির গর্বের বইমেলার এবারের থিম৷ সেখানে রবীন্দ্রনাথের প্রতি এবারের মেলাকে উত্সর্গ করেই দায় সারল বইমেলা কর্তৃপক্ষ৷ এবং কলকাতা বইমেলার আন্তর্জাতিক তকমার খাতিরে, মেলার বৌদ্ধিক অভিজ্ঞান হিসেবে থিম-দেশ বেছে নেওয়া হল ল্যাটিন অ্যামেরিকার একটি দেশকে৷

এবারও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য জানান দিলেন, কলকাতা বইমেলা ময়দান থেকে সরিয়ে আনার ক্ষত তাঁর এখনও শুকোয়নি৷ উদ্বোধনী ভাষণে তিনি এক হাত নিলেন সেই পরিবেশবাদীদের, যাঁরা দূষণের প্রশ্ন তুলে বাগড়া দেওয়ায় বইমেলা-কে ঠাঁইনাড়া হতে হয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘‘বইমেলার বিরুদ্ধেও কিছু কন্ঠস্বর আছে, এই শহরেই আছে৷ এটাই আমাদের দুর্ভাগ্য৷ আমাদের শহরের কিছু পরিবেশবিদ, তাঁরা নিজেদের পরিবেশবিদ বলেন, তারা যে বইমেলার বিরুদ্ধে এত সোচ্চার হবেন, আমার ধারণা ছিল না৷ পরিবেশের জন্য বইমেলা বন্ধ করে দেওয়া হোক, এই কথার মানে আমি বুঝতে পারিনি, আজও পারি না৷''

Indien Parlamentswahlen 2009 Der Ministerpräsident des indischen Bundesstaates West Bengal, Buddhadeb Bhattacharjee
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যছবি: UNI

ঘটনাচক্রে মুখ্যমন্ত্রী পরিবেশবাদীদের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন এমন এক দিনে, যে দিন শিবপুর বোটানিকাল গার্ডেনের পরিবেশ দূষণ নিয়ে সকাল থেকে তোলপাড় হয়েছে৷ রবিবার একটি বিয়ের ভোজসভা হয় বোটানিকাল গার্ডেনের ভেতরে৷ যার আবর্জনা সোমবারও বাগানে ছড়িয়ে ছিল৷ কীভাবে ঘটনাটা ঘটল, তা তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দিয়েছে বন দফতর৷

প্রতিবেদক : শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা : দেবারতি গুহ