1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগান হামলার ঘটনায় জার্মান সামরিক বাহিনী প্রধানের পদত্যাগ

২৬ নভেম্বর ২০০৯

আফগানিস্তানের কুন্দুজে তালেবান গোষ্ঠীর অপহরণ করা দুটি পেট্রল ট্রাকের ওপর বিমান হামলার সূত্রে জার্মান সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ভল্ফগাং শ্নাইডারহান পদত্যাগ করেছেন৷ চাপে পড়েছেন সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্রানৎস ইয়োজেফ ইউং-ও৷

https://p.dw.com/p/Kh9r
ভল্ফগাং শ্নাইডারহানছবি: AP

আফগানিস্তানে জার্মানির সেনা অবস্থানের মেয়াদ আরও বাড়ানো হবে কি না পার্লামেন্টে সেই বিতর্কের শুরুতেই আজ প্রতিরক্ষামন্ত্রী কার্ল থেওডোর সু গুটেনব্যার্গ জানান, সশস্ত্র বাহিনী বুন্ডেসভেয়ারের প্রধান জেনারেল শ্নাইডারহান পদত্যাগ করেছেন৷ তিনি জানান কুন্দুজে বিমান হামলার ঘটনা তদন্তে নিজের দায়দায়িত্ব স্বীকার করে নিয়ে একইভাবে পদত্যাগ করেছেন প্রতিরক্ষা বিষয়ক রাষ্ট্রসচিব পিটার বিশ্যার্ট-ও৷

সেপ্টেম্বর মাসের ৪ তারিখে তালেবানের অপহৃত দুটি পেট্রল ট্রাকের ওপর ন্যাটো বাহিনীকে বোমা হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন জার্মান সেনাবাহিনীর এক কমান্ডার৷ ট্রাকদুটির বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হতে পারে সন্দেহে ওই বিমান হামলা চালানো হয়েছিল৷ কিন্তু, এতে অন্তত দুই কিশোর এবং বেশকিছু সংখ্যক বেসামরিক আফগানসহ কমপক্ষে ১৪২জন নিহত হয়৷

আফগান অভিযানে বেসামরিক লোকজনের মৃত্যুতে এমনিতেই চাপের মুখে থাকা পশ্চিমা বাহিনী এই ঘটনায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে৷ জার্মানির তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্রানৎস ইয়োজেফ ইউং ওই ঘটনার পরপরই বলেছিলেন তার জানা মতে সেখানে কেবল তালেবান যোদ্ধারাই মারা গিয়েছে৷

কিন্তু, ঐ বিতর্কিত হামলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করা হয়নি, এই মর্মে পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশ হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে আবারও হৈ চৈ শুরু হয়৷ বৃহস্পতিবার জার্মানির বহুল প্রচারিত বিল্ড পত্রিকাটি জানায়, সরকার ওই হামলার ভিডিওচিত্র এবং বেসামরিক লোকজনের মৃত্যুর বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনাসহ প্রতিবেদন আটকে রেখেছিল৷ প্রতিরক্ষামন্ত্রী এর সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছেন ঘটনার বিশদ তদন্ত করা হবে৷

ওদিকে, বিরোধী সামাজিক গণতন্ত্রীদের নেতা ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার বলেছেন, গণমাধ্যমের খবরে দেখা গেছে যে, ওই ঘটনার তথ্যাবলী পার্লামেন্টের কাছ থেকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন' রাখা হয়েছিল৷ বিরোধী দল এই ঘটনার পূর্ণ পালামেন্টারি তদন্ত এবং তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করে৷

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীতে জার্মানির প্রায় ৪,৫০০ সেনা আফগানিস্তানে মোতায়েন রয়েছে৷ সেনা সংখ্যার বিচারে সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের পরই তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে জার্মানি৷

এদিকে, সেনাপ্রধানের পদত্যাগ এবং পার্লামেন্টে আফগান মিশনের মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে বিতর্কের ঠিক আগে বুধবার বাজেট তথ্য থেকে জানা গেছে আফগান মিশনের জন্য বড় ধরনের সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি করতে যাচ্ছে জার্মানি৷ এজন্য ২০১০ সালে ৭৮৫ মিলিয়ন ইউরো চেয়েছে সরকার৷ যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ২১৫ মিলিয়ন ইউরো বেশি৷

প্রতিবেদন: মুনীর উদ্দিন আহমেদ

সম্পাদনা: আব্দুস সাত্তার