1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানে আটকে মেয়েদের ফুটবল টিম

২ সেপ্টেম্বর ২০২১

কাবুল ছেড়ে পালাতে পারছেন না আফগান নারী ফুটবল দলের সদস্যরা। কাবুলে খুলতে পারে জার্মান দূতাবাস।

https://p.dw.com/p/3znQJ
নারী ফুটবল দল
ছবি: Kevin Lamarque/REUTERS

পালাতে চেয়েছিলেন তারা। কিন্তু পারেননি। কাবুলেই আটকে আছেন আফগান নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা এবং তাদের পরিবার। গত সপ্তাহে ফেডারেশনের কিছু ব্যক্তিকে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠিয়ে দেওয়া গেলেও বহু ফুটবলার এবং তাদের পরিবার এখনো আফগানিস্তানেই আটকে। পাঁচবার তাদের দেশের বাইরে পাঠানোর চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু কোনো চেষ্টাই সফল হয়নি।

সব মিলিয়ে ১৩৩ জন আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন। এর মধ্যে ২৬ জন খেলোয়াড় আছেন। এছাড়াও আছে তাদের পরিবার। যার মধ্যে বেশ কিছু শিশু আছে। সমস্যা হলো, অনেকের কাছেই পাসপোর্ট নেই। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও নেই। ফলে কোনো দেশেই তাদের পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে এখনো তাদের দেশ থেকে বার করার চেষ্টা চলছে বলে মার্কিন প্রশাসন সূত্র সংবাদসংস্থা এপি-কে জানিয়েছে।

ওই নারী ফুটবলাররা সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, তারা তালেবানকে ভয় পাচ্ছেন। কারণ, নারীদের খেলাধুলো তালেবান মানবে বলে তারা মনে করেন না। বস্তুত, প্রথম তালেবান আমলে আফগানিস্তানে সমস্ত খেলাধুলো নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। স্টেডিয়ামগুলিকে শাস্তি দেওয়ার মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এবার পুরুষদের ক্রিকেটের অনুমতি দিলেও মেয়েদের ফুটবলকে তালেবান অনুমতি দেবে বলে মনে করছেন না কোনো বিশেষজ্ঞই।

খুলতে পারে জার্মান দূতাবাস

সম্প্রতি চারদিনে পাঁচটি দেশে সফর করেছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস। আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলিতে গিয়ে তিনি আলোচনা করেছেন। সফরের শেষ দিনে দোহায় তিনি জানান, যদি সবকিছু ঠিক থাকে এবং আফগানিস্তানের রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল থাকে, তাহলে কাবুলে ফের খোলা হবে জার্মান দূতাবাস। তবে এখনই সেই সম্ভাবনা নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।

মাসের বক্তব্য, জার্মান প্রতিনিধির সঙ্গে তালেবান প্রতিনিধির বৈঠক হয়েছে। সেই আলোচনায় তালেবানের সামনে একাধিক শর্ত রেখেছে জার্মানি। মানবাধিকার, পালাতে চাওয়া আফগানদের অন্য দেশে যেতে দেওয়ার সুযোগ সহ একাধিক বিষয় সামনে রাখা হয়েছে। তালেবান সেই শর্ত পূরণ করলে ভবিষ্যতে কাবুলে জার্মান দূতাবাস খোলার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন মাস।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)