1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানে আত্মঘাতী হানায় নিহত কমপক্ষে ১৩

৩১ জুলাই ২০১১

আফগানিস্তানে রবিবার এক আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ১৩ জন৷ হেলমান্দ প্রদেশের রাজধানী লস্কর ঘা’র পুলিশ সদর দপ্তরে এই হামলায় নিহতদের মধ্যে এক শিশু রয়েছে৷ বাকিরা সবাই পুলিশ সদস্য৷

https://p.dw.com/p/12718
তালেবানের একটি হামলার ফাইল ছবিছবি: DW

স্থানীয় সময় রবিবার সকাল সাড়ে আটটায় পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে বিস্ফোরণ ঘটায় আত্মঘাতী হামলাকারী৷ সেসময় একদল পুলিশ টহল দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল৷ আফগান কর্মকর্তারা বলছেন, হামলায় আহতও হয়েছেন ১০ পুলিশ সদস্য এবং ২ বেসামরিক নাগরিক৷ সেদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এধরনের আক্রমণকে অনৈসলামিক এবং অমানবিক আখ্যা দিয়ে জানিয়েছে, এতে আফগান পুলিশের কর্মকাণ্ড দুর্বল হবে না৷

তালেবান মুখপাত্র ক্বারী ইউসুফ আহমেদি রবিবারের আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছে৷

বলাবাহুল্য, হেলমান্দ প্রদেশ দীর্ঘদিন ধরেই তালেবানের হামলার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে৷ আফগানিস্তানে নিহত বিদেশি সেনাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণ হারিয়েছে এই প্রদেশে৷ মাত্র কয়েকদিন আগে লস্কর ঘা'র নিরাপত্তার দায়িত্ব আফগান বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে ন্যাটো নেতৃত্বাধীন আইসাফ বাহিনী৷ কিন্তু সর্বশেষ হামলার পর একটি পুরনো প্রশ্ন আবারো নতুন করে দেখা দিয়েছে, সেটি হচ্ছে, আফগান বাহিনী কী সেদেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত?

মাত্র একদিন আগে শনিবার, গজনি প্রদেশে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারায় আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর দশ সদস্য৷ গত সপ্তাহে উরুজগান প্রদেশে আরেক হামলায় নিহত হয় ২২ ব্যক্তি, যাদের মধ্যে একজন সাংবাদিকও ছিলেন৷ ২৭ জুলাই কান্দাহারের মেয়র গোলাম হায়দার হামিদী নিহত হন আত্মঘাতী হামলায়৷

এছাড়া দু'সপ্তাহ আগে আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এর সৎ ভাই আহমেদ ওয়ালী কারজাই জঙ্গি হানায় নিহত হয়৷ সবমিলিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তানে তালেবান হানা আবারো বাড়তে শুরু করেছে৷ এমতাবস্থায় আন্তর্জাতিক বাহিনীকে সেদেশের নিরাপত্তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া কতটা উচিত হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে৷

প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম

সম্পাদনা: জাহিদুল হক