1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজ-সংস্কৃতিআফগানিস্তান

আফগানিস্তানে আফিম চাষ, মাদক ব্যবসা নিষিদ্ধ

৪ এপ্রিল ২০২২

আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি চরম নাজুক হওয়া সত্ত্বেও দেশটিতে আফিম ব্যবসা নিষিদ্ধ করেছে তালেবান৷ তবে অবৈধ এই ব্যবসার উপর নির্ভরশীল লাখ লাখ কৃষকের জন্য সরকার কী করবে তা স্পষ্ট নয়৷

https://p.dw.com/p/49Qo3
আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি চরম নাজুক হওয়া সত্ত্বেও দেশটিতে আফিম ব্যবসা নিষিদ্ধ করেছে তালেবান
আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি চরম নাজুক হওয়া সত্ত্বেও দেশটিতে আফিম ব্যবসা নিষিদ্ধ করেছে তালেবানছবি: Rahmat Gul/AP/picture alliance

তালেবান রোববার জানিয়েছে যে আফগানিস্তানে আফিম গাছ চাষ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে৷ হিরোইনের মতো নিষিদ্ধ মাদক তৈরিতে কাঁচামাল হিসেবে আফিম ব্যবহার করা হয়৷

আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে চাষের মৌসুমে এমন ঘোষণা দিল দেশটির শাসকগোষ্ঠী৷ এই নির্দেশ অমান্য করা কৃষককে কারাদণ্ড এবং তার উৎপাদন করা আফিম গাছ পুড়িয়ে ফেলা হবে বলেও জানিয়েছেন এক তালেবান মুখপাত্র৷

গত বছর আগস্টে তালেবান কাবুল দখলেরপর দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা আরো করুণ হয়ে পড়ে৷ আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো সেদেশে অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়৷ ফলে চাকুরি হারিয়েছেন অনেক সরকারি এবং বেসরকারি কর্মী৷

মানবিক সংস্থাগুলো আশঙ্কা করছে এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশটিতে অনেক মানুষের অভুক্ত থাকতে হতে পারে৷ কেননা অনেকে খাবার কেনার সামর্থ্য হারাবেন৷

অনাহারে ভুগছে আফগান শিশুরা

এদিকে, আফগান সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ জানিয়েছে, আফিম নিষিদ্ধ করার পর কৃষকদের জন্য বিকল্প খুঁজতে আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছেন দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী আবদুল সালাম হানাফি৷

গোটা বিশ্বের মধ্যে আফিমের সবচেয়ে বড় উৎস হচ্ছে আফগানিস্তান৷ জাতিসংঘের মাদক এবং অপরাধ দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে আফিমের চাহিদার আশি শতাংশের বেশি আসে এশিয়ার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি থেকে৷ এই খাত থেকে দেশটির বাৎসরিক আয় এক দশমিক ছয় বিলিয়ন ইউরো৷

উল্লেখ্য, এর আগে ক্ষমতায় থাকার সময় ১৯৯৪ সালের শেষের দিকে আফগানিস্তানে আফিম চাষ নিষিদ্ধ করেছিল তালেবান৷ তবে ২০০১ সালে মৌলবাদী গোষ্ঠীটিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়া হয়৷

এআই/কেএম (এপি, ডিপিএ)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য