1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানে বিউটি পার্লারগুলোর কী হবে?

২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর অনেক বিউটি পার্লার বন্ধ হয়ে গেছে৷ কিছু পার্লারে ঢুকে তালেবান হুমকি দিয়েছে, আর বাকিগুলো ভয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/40qBB
Afghanistan | Taliban in Kabul
ছবি: Kyodo/picture alliance

১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখল করার পর বিউটি পার্লারে সেঁটে থাকা মেয়ে মডেলদের ছবিতে রং মাখিয়ে দেয়ার ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে৷

কাবুলের ৪০ বছর বয়সি বিধবা নারী সাদাফের (ছদ্মনাম) একটি বিউটি পার্লার ছিল৷ ২০১৫ সালে স্বামী মারা যাওয়ার পর এই ব্যবসা দিয়ে তিনি পাঁচ সন্তান লালনপালন করতেন৷ কিন্তু তালেবান ক্ষমতায় আসার পর কয়েকজন বন্দুকধারী সাদাফের পার্লারে ঢুকে তাকে গুলি করার হুমকি দেয়৷এরপর সামনের জানালার কাচ ভেঙে দেয়৷ সেদিনের পর থেকে আর বাইরে বের হননি সাদাফ৷ তার সংসার এখন কীভাবে চলবে তিনি জানেননা৷

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান ক্ষমতায় থাকার সময় বিউটি পার্লার বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল৷ সেই সময় মেয়েরা মুখ ঢাকা পোশাক না পরলে তাদের বেত্রাঘাত করা হতো৷ নখে নেল পলিশ লাগালে অনেকের আঙুলও কেটে নিয়েছে তালেবান৷ ভুলবশত পোশাকের আড়ালে পা বের হয়ে গেলেও রাস্তায় নারীদের নির্মমভাবে পেটানোর ঘটনা ঘটেছে৷ প্রকাশ্যে মেকআপ পরে উপস্থিত নারীরা পুরুষদের উত্তেজিত করে বলে তালেবান মনে করে৷

তালেবান আবারও ক্ষমতায় আসায় সেই ঘটনার কথা মনে করে অনেক মালিক ভয়ে পার্লার বন্ধ করে দিয়েছেন৷

তবে গোপনভাবে কিছু পার্লারে কাজ শুরু হয়েছে বলে থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে জানিয়েছে ‘আফগানিস্তান ওমেন চেম্বার অফ কমার্স অ্যাণ্ড ইন্ডাস্ট্রি' বা এডাব্লিউসিসিআই৷

তালেবানের প্রথম সময়েও এভাবে গোপনে বিউটি পার্লার চালু ছিল বলে জানিয়েছেন সায়মা আলী৷ ৬৪ বছর বয়সি আলী এখন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন৷ ২০০৩ সালে কাবুলে এক বিউটি স্কুলে প্রশিক্ষণ দিতে গিয়ে এমন গোপন সেলুনের কথা শুনেছিলেন বলে জানান৷ ঐসব সেলুনে তালেবানের স্ত্রীরাও যেতেন বলে তিনি শুনেছেন৷ সায়মা আলী বলেন, ‘‘বোরকা পরে থাকলেও আফগান নারীরা সবসময় তাদের চেহারার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে থাকে৷'' তিনি বলেন, তালেবানের সময়েও বিয়ের অনুষ্ঠান ও অন্যান্য উৎসব হয়েছে৷ সে কারণে গোপনে পরিচালিত সেলুনগুলো ভালো আয় করেছে৷

এবার ক্ষমতায় এসে তালেবান বলেছে তারা আগের মতো কট্টর নীতি অনুসরণ করবেনা৷ ইসলামি আইন মেনে মেয়েরা কাজ করতে পারবে বলে জানিয়েছে৷ কিন্তু এর অর্থ কী, সেটা এখনও বিস্তারিত জানায়নি৷

তাই সাদাফের মতো পার্লারে কাজ করা অনেকে আপাতত পরিচিত ক্লায়েন্টদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করছেন৷

জেডএইচ/কেএম (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান