1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানের বিশৃঙ্খলা নিয়ে চাপে ন্যাটো

২০ আগস্ট ২০২১

কাবুল থেকে নিজেদের নাগরিক ও ঝুঁকিতে থাকা আফগানদের সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়ায় বিশৃঙ্খলা নিয়ে ন্যাটোর উপর চাপ বাড়ছে৷ তবে তাদের উদ্ধার কার্যক্রমের গতি দ্রুতই দ্বিগুণ করা হবে বলে জানিয়েছেন এক ন্যাটো কর্মকর্তা৷

https://p.dw.com/p/3zGHx
Afghanistan Kundus | US-Soldaten in Afghanistan | Hubschrauber
ছবি: Brian Harris/Planet Pix/ZUMA/dpa/picture alliance

দেশ ছাড়তে মরিয়া কয়েক হাজার আফগান প্রতিদিন কাবুল বিমান বন্দরে জড়ো হচ্ছেন৷ তাদেরকে সরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা তৈরি হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটোবাহিনীর সমালোচনা চলছে৷ রোববার থেকে শুরু করে বিমানবন্দরে এখন পর্যন্ত ১২ জন আফগান নিহত হয়েছেন৷ শুক্রবার বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে এক জার্মান নাগরিক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন৷ আফগানিস্তানে নিরাপত্তা পরিস্থিতি ক্রমাগত নাজুক হতে থাকায় হুমকিতে থাকা ব্যক্তিদের দ্রুত দেশটি থেকে নিয়ে আসার জন্য চাপ বাড়ছে জার্মানিসহ ন্যাটো দেশগুলোর উপরে৷ এমন পরিস্থিতিতে জোটভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা শুক্রবার এ নিয়ে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে৷

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ন্যাটোর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গেল পাঁচদিনে মোট ১৮ হাজার জনকে দেশটি থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে৷ সংকট সমাধানে সামনের দিনে এই গতি দ্বিগুণ করা হবে৷ এই মুহূর্তে আফগানিস্তানের ভিতরে ন্যাটোর কোনো সেনা মোতায়েন না থাকলেও নিজেদের ও আফগান নাগরিকদের সরিয়ে নিতে কাবুল বিমান বন্দরে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, তুরস্কের সৈন্যের উপস্থিতি রয়েছে৷ জুনে জার্মানি তাদের সবশেষ সেনা আফগানিস্তান থেকে ফিরিয়ে আনলেও নতুন করে ৬০০ জনকে পাঠিয়েছে৷

এদিকে শুক্রবার জুমার নামাজের আগে তালেবানের পক্ষ থেকে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে৷ মানুষ যাতে আফগানিস্তান না ছাড়ে, সে বিষয়ে বলতে গিয়ে ইমামদের প্রতিও আহ্বান জানায় ক্যানাডা, তুরস্কসহ কয়েকটি দেশে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষিত মৌলবাদী সংগঠনটি৷

কাবুল দখলের পর তালেবানের পক্ষ থেকে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছিল কারো প্রতি কোনো প্রতিশোধমূলক আচরণ করা হবে না৷ কিন্ত গত কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্স প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পূর্বাঞ্চলের শহর আসাদাবাদে বিক্ষোভরত আফগানদের উপর  তালেবান সদস্যদের গুলিবর্ষণে বেশ কয়েকজন মারা গেছেন৷

এছাড়া সেখানে সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা৷ তালেবান ডিডাব্লিউয়ের তিনজন সাংবাদিকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে৷ এরমধ্যে একজন সাংবাদিককে খুঁজে না পেয়ে তার পরিবারের এক সদস্যকে হত্যা করা হয়৷ গুরুতর আহত হয়েছেন আরো এক সদস্য৷ বাকি সদস্যরা তালেবান পৌঁছানোর আগেই পালিয়ে যেতে পেরেছিলেন৷ একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিক নেমাতুল্লাহ হেমাত নিখোঁজ রয়েছেন৷

বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের ১০২তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপনকারীদের উপর হামলা চালানো হয়েছে জালালাবাদ ও খোস্ট শহরেও৷  কাবুলে আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, সেখানেও স্বাধীনতা দিবসের একটি ব়্যালি চলাকালে তালেবান সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে৷ তবে এসব বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তালেবানের কারো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স৷

এফএস/এসিবি (রয়টার্স