1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফ্রিকায় দুর্ভিক্ষ, জার্মানির উৎকণ্ঠা

১৩ মার্চ ২০১৭

আফ্রিকায় ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধে অতিরিক্ত ১ কোটি ৫০ লাখ ইউরো ত্রাণের আহ্বান জানিয়েছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷ জাতিসংঘ বলছে, সোমালিয়া এবং দক্ষিণ সুদানসহ আফ্রিকার চারটি দেশের ২ কোটি মানুষ অনাহারে রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/2Z5aZ
Hungersnot in Jemen
ছবি: picture alliance/dpa/Unicef/NOTIMEX

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিগমার গাব্রিয়েল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যাতে অবিলম্বে তারা এ ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ নেন৷ রবিবার তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যদি ত্রাণ দিতে দেরি করে এসব অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ অনাহারে থাকবে৷

এরইমধ্যে জার্মানির এই নেতা জাতিসংঘকে অঙ্গীকার করেছেন, আফ্রিকাতে জার্মানির যে পরিমাণ ত্রাণ দেয়ার কথা ছিলো, তা দ্বিগুণ করবে তারা৷ এছাড়া গাব্রিয়েল অন্যান্য দাতা সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানান যাতে তারা দ্রুত এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেন৷ এছাড়া দাতা সংস্থাগুলোর সঙ্গে এ ব্যাপারে আরও বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি৷

অবিলম্বে জরুরি ত্রাণ:

গত সপ্তাহে জাতিসংঘের প্রতিনিধি ও' ব্রায়ান জানান, কেনিয়া, দক্ষিণ সুদান, সোমালিয়া এবং ইয়েমেনে এখনই ব্যবস্থা নেয়া না হলে অনাহারে বহু মানুষের মৃত্যু হবে৷ শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান৷ বলেন, ‘‘নষ্ট করার মতো সময় নেই৷ শিশুরা মারা যাচ্ছে, এমন ছবি দেখার অপেক্ষা করার কোনো মানে হয় না৷ এই চারটি দেশের একটা জিনিসে মিল আছে, আর তা হলো সংঘাত৷ তাই মহা বিপর্যয় ঠেকাতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে৷''

গত সপ্তাহে সোমালিয়া সফরের সময় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সেদেশের বিপর্যয় এড়াতে ৮২ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার সহায়তার আহ্বান জানান৷ জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, সোমালিয়া মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি প্রায় ৬০ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছে এবং তারা ত্রাণের উপর বেঁচে আছে৷ গত দু'মাসে কলেরায় আক্রান্ত ৮ হাজার রোগীর চিকিৎসা চলছে৷ এর প্রধান কারণ বিশুদ্ধ পানির অভাব৷

অন্যদিকে জাতিসংঘ বলছে, দক্ষিণ সুদানে ১০ লাখ মানুষ অনাহারে রয়েছে৷ ৫৫ লাখ মানুষ ত্রাণের উপর নির্ভর করে বেঁচে আছে৷ এদিকে, ত্রাণ সংস্থাগুলো সরকারের সমালোচনা করে বলছে, ত্রাণ কর্মীদের ‘ওয়ার্কিং ভিসার' ফি বাড়িয়ে দিয়েছে দক্ষিণ সুদান সরকার৷ আগে যা ছিল ৩০০ মার্কিন ডলার, তা এখন বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০ হাজার মার্কিন ডলার৷ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের অভিযোগ সংকটময় পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে দক্ষিণ সুদান সরকার৷

এপিবি/ডিজি (এপি, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য