1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আবর্জনা সমস্যায় জার্মান পন্থা

২৭ ডিসেম্বর ২০১৬

জার্মানিতে আসার পর ময়লা ফেলতে গিয়ে দেখি নানা রকম ময়লা ফেলার কন্টেইনার৷ শুরুতে বুঝিনি, কোনটায় কী ফেলবো৷ পরে এক ফ্ল্যাটমেট বুঝিয়েছিলেন পুরো ব্যাপারটা৷ পুরো সিস্টেমটা দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম৷

https://p.dw.com/p/2Uq0r
Bangladesch, Umweltverschmutzung
ছবি: Getty Images

চর্চাটা আসলেই ঘরেই শুরু করতে হয়৷ রান্নাবান্নার সময় তৈরি হওয়া যত আবর্জনা তা এক ব্যাগে রাখা, আর কাগজপত্র অন্য ব্যাগে রাখা৷ এরপর রং অনুযায়ী, ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট কন্টেইনারে সেগুলো ফেলতে হয়৷ রঙের বিষয়টিও জটিল নয়, কালো রঙের কন্টেইনারে ফলতে হবে রান্নাবান্নার সময় উৎপাদিত জৈব আবর্জনা, কাগজপত্রের জন্য নীল কন্টেইনা আর প্লাস্টিক দ্রব্যের জন্য হলুদ কন্টেইনার৷ এই তিন ধরনের কন্টেইনার প্রায় সববাড়ির সামনেই দেখা যায়৷ পাশাপাশি রয়েছে কাঁচের বোতল ফেলার নির্দিষ্ট কিছু কন্টেইনার৷ বাদামি, সবুজ আর সাদা বা স্বচ্ছ বোতলগুলো রং দেখে ফেলতে হয় সেসব কন্টেইনারে৷ তবে ব্যাটারি, অ্যাসিড বা রঙের মতো দ্রব্য ফেলা যায় না এ সব কন্টেইনারে৷ সেগুলোর জন্য আলাদা পাত্র৷

এখানেই শেষ নয়, ধরুন আপনার বাসার আসবাবপত্র পুরনো হয়ে গেছে, যেগুলো ফেলে দিতে হবে বা পুরনো টিভি ফ্রিজ ফেলে দেবেন৷ সেগুলো কি ময়লার কন্টেইনারের পাশে রেখে আসলেই চলবে? মোটেই না, এধরনের বড় জিনসপত্র ফেলার জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট কিছু দিন৷ এ সব দিনে বাড়ির সামনে সেগুলো ফেলে দিলে নগর কর্তৃপক্ষ কিংবা যাদের সেসব প্রয়োজন তা নিয়ে যাবে৷

ফেলার মতো আর কিছু কি বাকি আছে? হ্যাঁ, পুরনো জামাকাপড় ফেলবো কোথায়? সেই ব্যবস্থাও রয়েছে৷ তবে বাড়ির সামনে নয়৷ বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে বা পার্কিং লটে এক ধরনের কন্টেইনার থাকে যেগুলোতে পুরনো জামাকাপড়, জুতো ফেলা যায়৷ সেগুলো আবার দান হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং ব্যবহার উপযোগী পোশাক গরিব-দুঃখীদের দান করা হয়৷ আর প্লাস্টিকের বোতল ফেরত দিলে কিছু পয়সা পাওয়া যায়৷ তাই সেই বোতল সবাই নির্দিষ্ট মেশিনে বা দোকানে জমা দেন পয়সা ফেরত পেতে৷ 

এভাবে পরিকল্পিতভাবে ময়লা, আবর্জনা ফেলার উদ্দেশ্য হচ্ছে সেগুলোর ব্যবস্থাপনা নিখুঁত করা এবং অবশ্যই যতটা সম্ভব রিসাইকেল করা৷ জার্মানিতে বসবাসরতদের সহায়তায় জার্মান সরকার এক্ষেত্রে বেশ সফলতা পেয়েছে৷ দেশটিতে ৮৭ শতাংশ আবর্জনাই রিসাইকেল করা হয়৷

আরাফাতুল ইসলাম
আরাফাতুল ইসলাম, ডয়চে ভেলে

বাংলাদেশ থেকে এসেছি বলে অনেককিছুতেই দেশটির সঙ্গে জার্মানির তুলনা মনের অজান্তেই করে ফেলি৷ ইউরোপের দেশটির ময়লা আবর্জনা ব্যবস্থাপনা যতটা যুগপোযোগী বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেটা ততটাই পিছিয়ে৷ ঢাকা শহরে কোনোরকমে নাক চেপে ময়লার পাহাড়ের পাশ কেটে হাঁটার অভিজ্ঞতা অনেকবার হয়েছে৷ এখনো দেখি, ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট বক্সের আশেপাশেই ময়লা, আবর্জনা পড়ে থাকে বেশি৷ বর্তমান যুগে এমনটা একেবারেই প্রত্যাশিত নয়৷ বরং জনগণ সচেতন হলে আর সরকার কার্যকর উদ্যোগ নিলে জার্মানির মতো বাংলাদেশেও ময়লা, আবর্জনা সঠিকভাবে সংগ্রহ করে রিসাইকেল করা সম্বব৷

আপনার কি কিছু বলার আছে? লিখুন নীচের মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান