1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আবারো টাইফুনের আঘাত, বিদ্ধস্ত ফিলিপাইন

৩১ অক্টোবর ২০০৯

ফিলিপাইনে আবারো আঘাত হেনেছে টাইফুন৷ শুক্রবার শেষরাতের দিকে মিরিনা নামে এই টাইফুনটি দেশটির প্রধান দ্বীপ লুজনে আঘাত হানে৷ এতে এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷

https://p.dw.com/p/KJrV
টাইফুনের আঘাতে বিদ্ধস্ত বাড়ি, আশ্রয়হীন মানুষছবি: AP

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, টাইফুনটি আঘাত হানার সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত৷ বাতাসের সঙ্গে ছিল প্রবল বৃষ্টিপাত৷ ঘুর্ণিঝড়ে বাড়িঘর বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি, পানির তোড়ে ভেসে গেছে শত শত বাড়িঘর৷ ম্যানিলার সান্তা ক্রুজ শহরের মেয়র আরিয়েল ম্যাগকেলস এক রেডিও সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘আমাদের সাহায্য দরকার কারণ পানির উচ্চতা বেড়ে চলেছে৷ আমাদের লোকদের সরিয়ে নিতে এবং উদ্ধারকাজের জন্য রাবার বোট এবং হেলিকপ্টার দরকার৷'' আর বহু মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বাড়ির ছাদের ওপর, এমনটিও জানিয়েছেন ম্যাগকেলস৷ সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উপদ্রুত এলাকায় সেনাবাহিনী এবং পুলিশকে পাঠানো হয়েছে উদ্ধারকাজের জন্য৷

Taifun auf den Philippinen
দুই ছেলেকে নিয়ে পানি ঠেলে এগিয়ে যাচ্ছে বাবাছবি: AP

এখানেই শেষ নয়৷ প্রবল বন্যার পাশাপাশি অনেক জায়গায় ভূমিধ্বসের ঘটনাও ঘটেছে৷ জাতীয় দুর্যোগ সমন্বয় পরিষদ এনডিসিসি-র মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল এর্নেস্টো টরেস জানিয়েছেন, পুর্বাঞ্চলের লেগুনা, রিজাল, কুইজন এবং কামারিনস নর্টের অনেক জায়গাতে ভূমিধ্বসের কারণে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে৷ এছাড়া কয়েক জায়গায় সেতুও ধ্বসে গেছে বলে জানিয়ছেন টরেস৷

এদিকে এখন পর্যন্ত টাইফুন এবং বন্যায় ১১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে৷ তার মধ্যে, ম্যানিলার উপকন্ঠে এক ব্যক্তির মৃতদেহ পাওয়া গেলেও, তাঁর এক বছরের বাচ্চাটিকে পাওয়া যাচ্ছে না৷ এছাড়া, লেগুনাতে তিন জন, বিকোল প্রদেশে সাতজনের প্রাণহানির খবর জানা গেছে৷ অনেকের বাড়ি পানির তোড়ে ভেসে গেছে৷ নদীর পানির উচ্চতাও ক্রমশ বাড়ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ৷ এখন পর্যন্ত এক লাখেরও বেশি মানুষকে দুর্গত এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে৷

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ফিলিপাইনে আঘাত হানে টাইফুন কেটসানা, এবং তারও আগে নিরীক্ষিয় ঝড়ে সৃষ্ট বন্যায় বিধ্বস্ত হয় দেশটি৷ এই দুটি দুর্যোগে মৃত্যু ঘটে ১১০০ এরও বেশি মানুষের৷ এই দুর্যোগের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারো টাইফুন মিরিনা আঘাত হানলো দেশটিতে৷

প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: দেবারতি গুহ