1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আরও ছোঁয়াচে করোনা সংস্করণের জন্য জার্মানিতে প্রস্তুতি

৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১

জেনোমিক সেকোয়েন্সিং পদ্ধতির আরও ব্যাপক প্রয়োগ করে জার্মানি ব্রিটেন ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা মিউট্যান্টের প্রসার সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পেতে চাইছে৷ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহায়তা বাড়াচ্ছে সরকার৷

https://p.dw.com/p/3oqwy
Deutschland | Coronavirus | Berlin öffnet drittes Impfzentrum
ছবি: Sean Gallup/Getty Images Europe/dpa/picture alliance

করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি হলেও গোটা বিশ্বে সেই ভাইরাসের প্রকৃতি চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে দুর্বলতা রয়ে গেছে৷ একমাত্র জেনেটিক সিকোয়েন্সিং পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে মূল স্রোতের ভাইরাসের পাশাপাশি আরও ছোঁয়াচে বা মারাত্মক সংস্করণ শনাক্ত করা সম্ভব৷ জার্মানিতেও এমন পরীক্ষার অভাবের কারণে ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা বা ব্রাজিলের মতো দেশ থেকে আসা মিউট্যান্ট সংস্করণ চিহ্নিত করা এতকাল কঠিন ছিল৷ এবার কর্তৃপক্ষ নড়েচ়ড়ে বসেছে৷ ফেডারেল সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, জার্মানিতে মিউটেশনের প্রসার সম্পর্কে সার্বিক ধারণা পেতে জোরালো উদ্যোগ শুরু হয়েছে৷ আগামী সপ্তাহের শুরু থেকেই সরকারি পরিসংখ্যানে এই বিষয়টির উল্লেখ থাকবে৷

সরকারি সূত্র অনুযায়ী গত মঙ্গলবারের মধ্যে জার্মানিতে ১১৪ জনের শরীরে ব্রিটিশ এবং ৫২ জনের শরীরে দক্ষিণ আফ্রিকার সংস্করণ পাওয়া গেছে৷ তবে কর্তৃপক্ষের ধারণা, বাস্তবে এমন সব বিপজ্জনক সংস্করণ আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে৷ ফলে সার্বিকভাবে করোনা সংক্রমণের হার কমতে থাকলেও এমন পরিস্থিতিতে লকডাউন শিথিল করার বিপক্ষে রায় দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷

উল্লেখ্য, জার্মানিতে সর্বশেষ দৈনিক সংক্রমণের হার ১৪,২১১ এবং দৈনিক মৃত্যুর হার ৭৮৬৷ আপাতত ১৪ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে৷ আগামী ১০ই ফেব্রুয়ারি চ্যান্সেলর ম্যার্কেলও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবেন৷

ব্রিটেন থেকে আসা বিওয়ানওয়ানসেভেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা ইফোরএইটফোরকে সংস্করণ সম্পর্কে বার বার সতর্ক করে দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷ জার্মান ভাইরোলজিস্ট আলেক্সান্ডার কয়েকলা সংবাদ সংস্থা ডিপিএ-কে বলেছেন, এখনো পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এই সব মিউট্যান্ট আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং কয়েকটি সংস্করণের ক্ষেত্রে টিকাও সম্ভবত প্রতিরোধ করতে অক্ষম৷

এদিকে একটানা লকডাউনের কারণে জার্মানির অর্থনীতি চাপের মুখে রয়েছে৷ অদূর ভবিষ্যতে কড়াকড়ি শিথিল করার সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না৷ ফলে সরকার ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করতে জার্মান মন্ত্রিসভা কিছু নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে৷ এর আওতায় কম আয়ের মানুষের জন্য সরাসরি আর্থিক সহায়তা এবং কোম্পানিগুলির লোকসান মেটাতে করের ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে৷ তাছাড়া প্রত্যেক সন্তানের জন্য পরিবারগুলি এককালীন দেড়শো ইউরো ভাতা পাবেন৷ হোটেল রেস্তোরাঁ শিল্পের সংকট কিছুটা লাঘব করতে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিক্রয় করের হার ১৯ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭ শতাংশে আনা হচ্ছে৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স)