1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আলগা হচ্ছে ট্রাম্পের রাশ

১৯ নভেম্বর ২০২০

আইনি লড়াই চালিয়েও নির্বাচনের ফলাফলে তেমন পরিবর্তন আনতে পারছেন না ট্রাম্প৷ রিপাবলিকান দলের নেতারা প্রকাশ্যে স্বীকার না করলেও কার্যত পরাজয় মেনে নিচ্ছেন৷

https://p.dw.com/p/3lXHG
ডনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: MANDEL NGAN/AFP

জো বাইডেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, প্রকাশ্যে তা না স্বীকার করলেও আড়ালে সেই বাস্তব মেনে নিচ্ছেন রিপাবলিকান দলের নেতারা৷ কিন্তু বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে চটাতে চাইছেন না কেউ৷ এদিকে ট্রাম্প একাধিক রাজ্যে পুনর্গণনার দাবি ও নির্বাচনে অনিয়ম সংক্রান্ত মামলা করেও নিজের জয় প্রমাণ করতে পারছেন না৷ যেমন উইসকনসিন রাজ্যে এমনকি বাইডেনের জয়ের ব্যবধান আরও বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাষ পাওয়া যাচ্ছে৷ মিশিগান ও পেনসিলভানিয়া রাজ্যেও ট্রাম্প নিজেকে জয়ী প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন৷

বৃহস্পতিবার পুনর্গণনার পর জর্জিয়া রাজ্যও সম্ভবত বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করতে চলেছে৷ রাজ্যের শীর্ষ নির্বাচনি কর্মকর্তা ও রিপাবলিকান দলের নেতা বলেছেন, বাইডেন ট্রাম্পের তুলনায় প্রায় ১৪ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন৷ পুনর্গণনা সত্ত্বেও সেই সংখ্যায় তেমন কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই৷ ট্রাম্প অবশ্য নতুন করে পুনর্গণনার আবেদন করতে পারেন৷ উল্লেখ্য, গোটা দেশে ট্রাম্প বাইডেনের তুলনায় প্রায় ৫৮ লাখ কম ভোট পেয়েছেন৷ কমপক্ষে তিনটি বড় রাজ্যে নির্বাচনের ফলাফল বদলাতে না পারলে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন না৷ অথচ বাস্তবে এমন সম্ভাবনা কার্যত অসম্ভব৷ তবে ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত ট্রাম্প আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন৷

এমন পরিস্থিতিতে রিপাবলিকান দলের একের পর এক নেতা বাইডেনের জয় পরোক্ষভাবে মেনে নিচ্ছেন৷ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত কমলা হ্যারিস সংসদ সদস্য হিসেবে চলতি সপ্তাহে সেনেটে ফেরার পর রিপাবলিকান দলের সদস্যরা তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন৷ ট্রাম্প নিজে পরাজয় স্বীকার করা পর্যন্ত তাঁরা এ বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নেবেন কিনা, সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে৷ তাছাড়া ট্রাম্প ৭ কোটিরও বেশি ভোট পেয়ে রিপাবলিকান সমর্থকদের আস্থার প্রমাণ দিয়েছেন বলে দলের নেতারা প্রেসিডেন্টের বিরোধিতা করতে চান না৷ ২০২৪ সালে ট্রাম্প আবার দলের মনোনয়ন পেলে তিনি ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিতে পারেন, এমন আশঙ্কাও কাজ করছে৷ জানুয়ারি মাসে সেনেটের দুই আসনের জন্য নির্বাচনের স্বার্থেও নেতারা ঐক্য বজায় রাখতে চাইছেন৷

এমন অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও জো বাইডেন ২০শে জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছেন৷ বিশেষ করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা আড়াই লাখের মাত্রা পেরিয়ে যাবার পর প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি অবিলম্বে মহামারি মোকাবিলার কাজে মন নিতে চান৷ তবে বিদায়ী ট্রাম্প প্রশাসন কোনো রকম সহযোগিতা না করায় বাইডেন টিমের সমস্যা হচ্ছে৷ বিশেষ করে গোয়েন্দা সংস্থার দৈনিক ‘ব্রিফিং’ না পাওয়ায় ভবিষ্যৎ প্রশাসন দেশের জন্য হুমকি সম্পর্কে কোনো পূর্বাভাষ পাচ্ছে না৷ এই অবস্থায় তাঁকে বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামতের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে৷ ট্রাম্প টিমের কিছু কর্মকর্তা অবশ্য নীরবে কিছু সহায়তা শুরু করেছেন৷

এসবি/কেএম (রয়টার্স, এপি)