1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আলট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে বয়স নির্ধারণ

২২ জানুয়ারি ২০১৯

২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে জার্মানিতে প্রায় ৭০ হাজার অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশু অভিভাবকহীন অবস্থায় প্রবেশ করেছে৷ তাদের প্রকৃত বয়স নির্ধারণে আলট্রাসাউন্ড পদ্ধতি প্রয়োগের চিন্তা করা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3BxKR
Deutschland - Symbolbild Minderjährige Flüchtlinge
ছবি: picture-alliance/dpa/U. Deck

জার্মানিতে আসা অপ্রাপ্তবয়স্ক (বয়স ১৮ বছরের নীচে) ও অভিভাবকবহীন  শিশুদের জার্মানি থেকে বিতাড়ন করা হয় না৷ এছাড়া জার্মানিতে আসা মাত্রই তাদের জন্য পড়ালেখা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়৷

এই সুযোগ নিতে অনেকে তাদের বয়স কমিয়ে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে৷ তাই প্রকৃত বয়স নির্ধারণে প্রথমে এক্স-রে পদ্ধতি ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছিল৷ কিন্তু জার্মানির চিকিৎসকদের সংগঠন এর বিপক্ষে অবস্থান নেয়৷ তারা বলেছে, নীতিগত ও চিকিৎসাজনিত কারণে এই পদ্ধতি সমর্থন করা যায় না৷ এক্স-রে পদ্ধতিতে ব্যবহৃত তেজস্ক্রিয় রশ্মির কারণে শরীরের ক্ষতি হতে পারে বলে জানান চিকিৎসকরা৷ তাছাড়া এক্স-রে'র মাধ্যমে পাওয়া তথ্য কতটা নির্ভুল তা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে৷

এই অবস্থায় আলট্রাসাউন্ডের দ্বারস্থ হতে চাইছে জার্মানি৷ এর মাধ্যমে প্রকৃত বয়স নির্ধারণ করা যায় কিনা তা জানতে একটি গবেষণায় এক মিলিয়ন ইউরো দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়৷

২০২০ সাল নাগাদ গবেষণার ফলাফল জানা যেতে পারে৷

চিকিৎসকদের সংগঠন বিএকে'র প্রধান ফ্রাংক উলরিশ এক্স-রে'র পরিবর্তে আলট্রাসাউন্ড ব্যবহারের চিন্তাকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ তবে এর ফলে প্রাপ্ত তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা এখনো নির্ধারিত হয়নি বলেও ডয়চে ভেলেকে জানান তিনি৷

এক্স-রে'র চেয়ে আলট্রাসাউন্ড প্রযুক্তি ভালো বলে প্রমাণিত হলেও শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘প্রো-অ্যাসাইল'এর ব্যার্ন্ড মেসোভিচ এভাবে বয়স নির্ধারণ সমর্থন করছেন না৷ শুধুমাত্র মামলা ও চিকিৎসাজনিত কারণে এক্স-রে ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিভাবকহীন  শিশুদের অপরাধীদেরশ্রেণিতে ফেলে দিচ্ছেন৷''

মেসোভিচ বলেন, ‘‘১৯ কিংবা ২০ বছরের কয়েকজন, যারা তাদের ঘর ছেড়ে পালিয়ে এসেছে, তারা যদি বয়সের তথ্য ভুল দিয়ে জার্মানিতে শিক্ষিত হওয়ার ও জার্মান সমাজে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পায়, তাহলে সেটা, তাদের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যাওয়ার চেয়ে ভালো৷''

কেট ব্র্যাডি/জেডএইচ