1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আশ্রয়প্রার্থীর আবেদন বাড়ছে ইউরোপে, বাড়ছে বিতাড়নও

১১ জুন ২০১৯

মাঝে কয়েক বছর কম গেলেও, ইউরোপীয় ইউনিয়নে আশ্রয়প্রার্থীর আবেদন আবারও বাড়ছে৷ ইউরোপীয়ান অ্যাসাইলাম সাপোর্ট অফিস (ইএএসও) বলছে, চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই আশ্রয় চেয়ে জমা পড়েছে ২লাখ ৬হাজার ৫০০ আবেদন৷

https://p.dw.com/p/3KAAU
Spanien Madrid - Proteste gegen Zensur in Venezuela
ছবি: Imago Images/ZUMA Press

 একই সময়ের মধ্য গত বছর যা ছিল, ১ লাখ ৭৯ হাজার৷ এবার, সিরিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে৷ গেল বছরের তুলনায় যা বেড়েছে ৮ শতাংশ৷ ইউরোপীয়ান অ্যাসাইলাম সাপোর্ট অফিসের তথ্য মতে, ২০ হাজার ৩৯২ জন্য সিরীয় নাগরিক ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছে৷ সংখ্যার বিচারে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ভেনেজুয়েলার নাম৷ দেশটির ১৪ হাজার ২৫৭ নাগরিক আশ্রয় চেয়ে ইউরোপে৷ তৃতীয় অবস্থানে থাকা আফগান নাগরিকদের আবেদনের হার গেল বছরের চেয়ে বেড়েছ ৩৬ শতাংশ, সংখ্যায় ১৪ হাজার ৪২৷ ৮ হাজার ৯৭টি আবেদন করেছে কলম্বিয়ার নাগরিকরা৷ পরিসংখ্যান বলছে, গতবারের তুলনায় যা ১৩৬ শতাংশ বেশি৷

ইএএসও-এর তথ্য অনুযায়ী ওয়েস্ট বলকানভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আলবেনিয়া আর ককাস স্টেটের মধ্যে জর্জিয়া থেকেও আবেদনের সংখ্যা বেড়েছে৷ আর, যেসব দেশের নাগরিকরা সেনজেনভুক্ত দেশে ভিসামুক্ত প্রবেশের সুযোগ পান, তাদের আবেদনের হার বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ৷

রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নে আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি বিতাড়নও বাড়ছে৷ আর এ প্রবণতা সবচেয়ে বেশি জার্মানিতে৷

আশ্রয়প্রার্থীদের বের করে দেয়ার প্রবণতার সমালোচনা করেছেন জার্মানিতে অবস্থিত জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) প্রতিনিধি ডমিনিক বার্টশ৷ তিনি জানান, আফগানিস্তানের আশ্রয়প্রার্থীদের ফিরিয়ে দেয়া মানে, তাদের যুদ্ধক্ষেত্রে ঠেলে দেয়া৷

বার্টশ জানিয়েছেন, ইউএনএইচসিআর ফিরিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়াকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করছে না৷ তার মতে, আশ্রয়প্রার্থীরা কোন ভূখণ্ড থেকে এসেছে সেটা বিবেচনায় নেয়া উচিত৷ উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, আফগানিস্তান এমন একটা দেশ, যেখানে বেসামরিক নাগরিকেরা সারাক্ষণ নিহত কিংবা আহত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন৷

গেল বুধবার আফগানিস্তান ও সুদানের নাগরিকদের বের করে দেয়ার বিষয়ে জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত স্থগিতের আবেদন জানিয়েছে প্রো-অ্যাসাইলাম নামের একটি সংগঠন৷ মূলত, জার্মানিতে বাস্তুচ্যুত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো ও আইনি সহায়তা দিয়ে থাকে সংস্থাটি৷ এমনকি সিরীয় ও ইরাকি নাগরিকদেরও ফিরিয়ে না দিতে জার্মান সরকারের প্রতি আহ্বান জানায় সংগঠনটি৷

অন্যদিকে, আট বছরের গৃহযুদ্ধ, সন্ত্রাসী ঝুঁকি সত্ত্বেওসিরীয় নাগরিকদের বিতাড়নে জার্মানের সরকারের কাছে আবেদন জানাতে যাচ্ছে বাডেন-ভুর্টেমব্যার্গ, বাভারিয়া এবং স্যাক্সোনি রাজ্য৷

পরিসংখ্যান বলছে, এপ্রিল পর্যন্ত জার্মানির অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ক ফেডারেল অফিস ১৪৫ আশ্রয়প্রার্থীর আপিল আবেদন খারিজ করেছে৷ এখন পর্যন্ত দুজনকে আশ্রয় দিতে রাজি হয়েছে দেশটি৷ যা মোট আবেদনের মাত্র ১.৬ শতাংশ৷ গত বছর মোট ৬৪৭টি আপিলের মধ্য মাত্র ৭৭টি অনুমোদন দিয়েছন জার্মান সরকার৷

টিএম/ কেএম (এএফপি, ডিপিএ, কেএনএ,ইপিডি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য