1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আয়ারল্যান্ডে গর্ভপাতের জয়, চাপ লন্ডনেও

২৭ মে ২০১৮

আয়ারল্যান্ডে গণভোটে প্রতি তিনজনের দু'জন গর্ভপাতের পক্ষে ভোট দিয়ে ইতিহাস তৈরি করেছেন৷ এখন সরকারকে নতুন আইন করতে হবে৷ এদিকে, পার্শ্ববর্তী নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডেও আইন সংস্কারের দাবি উঠেছে লন্ডনে৷

https://p.dw.com/p/2yPCj
Irland: Abstimmung über Abtreibungsrecht war erfolgreich
ছবি: Getty Images/C. McQuillan

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা৷ ঐতিহাসিক এক গণভোটের ফল ঘোষণার পালা৷ গর্ভপাত নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত আইরিশরা তাঁদের ভোট দিয়েছেন দিনভর৷ কাঙ্খিত সেই ফল ঘোষিত হলো এবং দেখা গেল, ৪০টি সংসদীয় এলাকার ৩৯টিতেই ‘হ্যাঁ' ভোট জিতেছে৷ একটি সংসদীয় এলাকায় ‘না' ভোট জিতেছে, তাও খুব অল্প ব্যবধানে৷
মোট সাড়ে ২১ লাখ ভোট পড়েছে, যা দেশটির ইতিহাসের যে কোনো গণভোটে সর্বোচ্চ৷ গর্ভপাতের পক্ষে পড়েছে ১৪ লাখ ৩০ হাজার, বা ৬৬ দশমিক ৪ ভাগ৷ অর্থাৎ রোমান ক্যাথলিক দেশটিতেও প্রতি তিনজনের দু'জন চান যে গর্ভপাতের সময় মা'য়ের কোনো ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে তিনি গর্ভপাত করতে পারবেন৷ অথচ ১৯৮৩ সাল থেকে দেশটিতে নিষিদ্ধ থাকায় এখনও পর্যন্ত নারীরা অন্যদেশে পাড়ি জমাতেন গর্ভপাত করতে৷

দেশটির প্রধানমন্ত্রী এই ফলাফলের পর তাঁর বিস্ময় প্রকাশ করেন এভাবে, ‘‘এই ফল আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে বাস্তবতা দেখিয়ে দিয়েছে৷'' বলছিলেন লেও ভারাদকর৷
এখন সবার চোখ আইরিশ সংসদের দিকে৷ সেখানেই সংবিধানের অষ্টম সংশোধনীতে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করে যে পুরোনো আইন করা হয়েছিল, তা বদলে নতুন আইন তৈরি করতে হবে৷
বিশ্লেষকরা মনে করেন, ঐতিহ্যগতভাবে রোমান ক্যাথলিক দেশটিতে মানুষ রীতিনীতির বদলে সামাজিক সমস্যার প্রতি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন৷ প্রধানমন্ত্রী ভারাদকর ফলাফলের পরে আরো বলেন, ‘‘এই দিনে আয়ারল্যান্ড শেষ কালোছায়াটি অতিক্রম করে আলোতে এল৷ একদিনেই আমরা একটি যুগ পেরোলাম৷ আমরা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামিল হলাম৷''
গর্ভধারণের প্রথম তিন মাসের মধ্যে গর্ভপাতের অধিকার দিতে তাঁর সরকার একটি আইন প্রণয়ন করবে৷ তবে এখনো বোঝা যাচ্ছে না, এমন একটি গনভোটের পরে গর্ভপাতবিরোধীরা সংসদে কোন কৌশল অবলম্বন করবেন৷ কেউ কেউ তো বলছেন যে, সংসদে কঠিন বিতণ্ডা হতে পারে৷
বিশ্লেষকরা এই জয়কে দেশটিতে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় বড় অর্জন বলে দেখছেন৷ গ্রাম ও শহরে একই রকমের ফলাফলেও চমকিত হয়েছেন অনেকেই৷ তবে গুরুত্বপূর্ণ হলো যে, কী পুরুষ, কী নারী, পক্ষে পড়া ভোটে সমতার ভারসাম্য ছিল৷
এমনকি বয়সভেদেও খুব একটা তারতম্য হয়নি৷ তরুণ প্রজন্ম যারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পড়াশোনা করেছেন, তারা যেমন ভোট দিয়েছেন, তেমনি ৬৫ বয়সের বেশি বুড়োবুড়িরাও বাদ যাননি৷


এদিকে, লন্ডনেও এখন ধুঁয়া উঠেছে আইন সংস্কারের৷ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে'র কাছে কোনো কোনো মন্ত্রি দাবি জানিয়েছেন যে, পার্শ্ববর্তী নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড, যেখানেও গর্ভপাতের বিরুদ্ধে কড়া আইন বলবৎ আছে এখনো, সেখানেও সংস্কার করতে হবে৷
ব্রিটিশ নারী ও সমতা মন্ত্রী পেনি মর্ডওন্ট বলেন, ‘‘আয়ারল্যান্ডের জন্য অসাধারণ ও ঐতিহাসিক এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের জন্য আশাবাদের একটি দিন৷ এই আশা পূরণ করতে হবে৷''

জেডএ/ডিজি (এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য