1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিষেধাজ্ঞা চাপাচ্ছে অ্যামেরিকা

২৪ অক্টোবর ২০১৮

খাশগজি হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সরাসরি সৌদি আরবের কড়া সমালোচনা করেছেন৷ ২১ জন সৌদি কর্মকর্তার ভিসা বাতিল করেছে মার্কিন প্রশাসন৷ আরো পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷

https://p.dw.com/p/374l8
সৌদি আরবের বিরুদ্ধে কড়া কথা বললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: Reuters/K. Lamarque

খাশগজি-হত্যাকাণ্ড নিয়ে শুধু সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান প্রবল চাপের মুখে নেই৷ বাণিজ্যিক স্বার্থে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি নেতৃত্বের প্রতি মাত্রাতিরিক্ত আস্থা দেখাচ্ছেন বলে বার বার অভিযোগ উঠছে৷ মঙ্গলবার ট্রাম্প সৌদি আরবের সঙ্গে সুসম্পর্কের উল্লেখ করেও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সে দেশের সরকারি অবস্থানের কড়া সমালোচনা করেন৷ ট্রাম্প বলেন, ‘‘তাদের মূল কনসেপ্ট বা ধারণা অত্যন্ত খারাপ ছিল, সেটি অত্যন্ত খারাপভাবে কার্যকর করা হয়েছে এবং সেই ঘটনা গোপন রাখতে যা করা হয়েছে, তা ধামাচাপা দেবার প্রচেষ্টা ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ ‘কভার-আপ' ছিল৷''

ট্রাম্প অবশ্য এখনো সৌদি আরবের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপের কথা বলেননি৷ গোটা অঞ্চলে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিদের সফরের পর তাঁদের বক্তব্য শুনে তিনি পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করবেন বলে জানিয়েছেন৷

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও অবিলম্বে ২১ জন সৌদি কর্মকর্তার মার্কিন ভিসা বাতিলের ঘোষণা করেছেন৷ তাঁরা সবাই খাশগজি-হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে মার্কিন প্রশাসন জানতে পেরেছে৷ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, এমনকি সৌদি রাজপ্রাসাদেও এমন ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়েছে৷ খাশগজি-হত্যাকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করে পম্পেও মার্কিন কংগ্রেস ও বিদেশি সহযোগীদের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে আরো পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছেন৷ তবে প্রেসিডেন্টের মতো তিনিও এ বিষয়ে আরো তথ্যের জন্য অপেক্ষা করতে চান৷

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র প্রধান জিনা হ্যাসপেল তুরস্ক সফরে গিয়ে খাশগজি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেছেন৷ ইস্তানবুলে সৌদি কনসালেটের মধ্যে খাশগজির উপর নিপীড়ন ও তাঁর হত্যার ঘটনার অডিও রেকর্ডিং তুরস্কের তদন্তকারীদের হাতে রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে৷ সিআইএ প্রধান নিজে তা শুনতে চেয়েছেন৷ তবে এখনো পর্যন্ত তুরস্ক কোনো দেশকে এই তদন্ত সংক্রান্ত তথ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখার সুযোগ দেয়নি৷

মঙ্গলবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ান খাশগজি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত সম্পর্কে বক্তব্য রেখেছেন৷ তিনি ঘটনাপ্রবাহের বর্ণনা দিয়ে অভিযুক্ত সৌদি কর্মকর্তাদের তুরস্কে এনে বিচারের দাবি করেছেন৷ বিভিন্ন পর্যবেক্ষকের মতে, এর্দোয়ান সৌদি বাদশাহ সালমানের বিরুদ্ধে কোনো বিরূপ মন্তব্য না করলেও প্রচ্ছন্নভাবে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ক্ষমতা কমানোর চেষ্টা করছেন৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)