1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিমান দুর্ঘটনায় নিহত অনেক উন্নয়নকর্মী

১২ মার্চ ২০১৯

তাঁরা ক্ষুধার্তদের জন্য খাদ্য নিশ্চিতে, অসুস্থদের ওষুধ দিতে এবং যেখানে বিশুদ্ধ পানি নেই সেখানে তা সরবরাহ নিশ্চিতে কাজ করেছেন৷ রবিবার ইথিওপিয়ায় বিমান দুর্ঘটনায় নিহতের মধ্যে অনেকেই ছিলেন উন্নয়নকর্মী৷

https://p.dw.com/p/3EsMQ
ছবি: Dw/O. Tadele

কাজের প্রতি নিবেদিত এবং উত্সাহী হিসেবে পরিচিত বিভিন্ন বেসরকারি পরিবেশ, অভিবাসী এবং শরণার্থী বিষয়ক সংগঠনের বেশ কয়েকজন কর্মী রবিবার নিহত হয়েছেন৷ তাঁদের সঙ্গে ছিলেন যাজক, অধ্যাপক, রাষ্ট্রদূত, পুলিশ প্রধান এবং লেখক ও ক্রীড়াবিদ৷ নিহতদের সবাই বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ মডেলের বিমানে চড়ে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা থেকে কেনিয়ার নাইরোবী যাচ্ছিলেন৷ কিন্তু বিমানটি উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয় এবং যাত্রী ও ক্রুদের সবাই ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান৷ 

ইথিওপিয়ায় বিমান বিধ্বস্তের তদন্ত শুরু

নিহতদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন ইথিওপীয় নাগরিক রয়েছেন, যাঁরা বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করতেন৷ তামিরাত মুলু দিমেসি নামের এক কর্মীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ‘সেভ দ্য চিলড্রেন'৷ মানবিক সংকটের সময় অরক্ষিত শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করতেন তিনি৷ এছাড়া ‘ক্যাথলিক রিলিফ সার্ভিসেস' নামের আরেক উন্নয়নসংস্থার চার কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন৷

বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে কেয়ার, রেডক্রস, জাতিসংঘের খাদ্য কর্মসূচি, সিভিল রাইটস ডিফেন্ডারসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের কর্মী রয়েছেন৷ মোট ৩৫টি দেশের নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে ছিলেন আইরিশ নাগরিক মিশায়েল রায়ান, যিনি অতীতে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করেছেন৷ 

এদিকে, গত ছয়মাসের মধ্যে দু'বার বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৮ জেটলাইনার দুর্ঘটনায় পতিত হওয়ায় কয়েকটি এয়ারলাইন্স এই বিমানে উড়াল পরিচালনা আপাতত বাতিল করেছে৷ বিমানটিতে কোনো ত্রুটির কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে৷

এআই/জেডএইচ (রয়টার্স, এপি)