1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইথিওপিয়ায় মানুষকে হাতে অস্ত্র নিতে বললো সরকার

১ নভেম্বর ২০২১

টিগ্রে বিদ্রোহীরা গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল নেয়ার পর নাগরিকদের হাতে অস্ত্র নিতে বললো ইথিওপিয়ার সরকার।

https://p.dw.com/p/42PxN
টিপিএলএফ বিদ্রোহীদের দাবি সত্যি হলে তারা রাজধানীর কাছে চলে এলেন।ছবি: Yasuyoshi Chiba/AFP/Getty Images

জিবুতি বন্দর যাওয়ার পথে মূল রাস্তার সঙ্গে সংযোগকারী সড়কের ধারে কোমবোলচা শহর দখল করে নিল টিগ্রে বিদ্রোহীরা। দীর্ঘদিন সেনার সঙ্গে লড়াই করে এই শহর দখল করেছে বলে তারা দাবি করেছে। এছাড়া ওলোমো লিবারেশন ফ্রন্ট(ওএলএফ) দাবি করেছে, তারা সেনার কাছ থেকে আদ্দিস আবাবা থেকে ৩২৫ কিলোমিটার দূরের শহর কেমিস দখল করে নিয়েছে।

এরপরই ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবেদন জানিয়েছে, নাগরিকরা এবার হাতে অস্ত্র তুলে নিন। তারাও এবার বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াইয়ে সামিল হোন।

কী বলছে বিদ্রোহীরা

টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট(টিপিএলএফ)-এর মুখপাত্র বলেছেন, কোমবোলচার নিয়ন্ত্রণ এখন পুরোপুরি তাদের হাতে।

তিনি জানিয়েছেন, ওই শহরে ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার ব্যাপারে তারা জাতিসংঘের সঙ্গে সহায়তা করবেন। জাতিসংঘ জানিয়েছে, উপদ্রুত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার ব্যাপারে সরকার সহযোগিতা করছে না। তারা রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে।

টিপিএলএফের দাবি সত্য হলে এটা সরকারের কাছে একটা বড় ধাক্কা। টিপিএলএফ ইতিমধ্যেই টিগ্রের অধিকাংশ এলাকা দখল করে নিয়েছে। তারা এখন রাজধানী থেকে ৩৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।

ইথিওপিয়ার উত্তরভাগে মিডিয়া ব্লকআউট চলছে। তাই টিপিএলএফের দাবি যাচাই করাটা শক্ত।

সরকারের প্রতিক্রিয়া

ইথিওপিয়া সরকার জানিয়েছে, তারা এখনো হারেনি। লড়াই চলছে। টিপিএলএফ ও ওএলএফের সঙ্গে সেনা লড়াই করছে।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ফেসবুক পোস্টে দেশের নাগরিকদের কাছে হাতে অস্ত্র তুলে নেয়ার অনুরোধ করেছেন। টিপিএলএফ ও ওএলএফের মোকাবিলা করতেই এই অনুরোধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকরি মুখপাত্রের দাবি, বিমান বাহিনী রোববার বিদ্রোহীদের সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উপর বোমা ফেলেছে।

আমহারা রিজিওন্যাল স্টেট কাউন্সিল জরুরি অবস্থা জারি করেছে। তারা বলেছে, পুরো বাজেট এখন লড়াইয়ের কাজে লাগাতে হবে। তারা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে, তারা যেন লড়াইয়ের ময়দানে গিয়ে কাজ করেন। আর নাগরিকদের বলা হয়েছে, তারা যেন তাদের গাড়ি লড়াইয়ের জন্য দেন।

জিএইচ/এসজি(এপি, রয়টার্স, ডিপিএ)