ইরাকের বাইকারদের ক্লাব
২০১২ সালে ইরাকে মোটরসাইকেল আরোহীদের একটি ক্লাব গড়ে ওঠে৷ শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্ব পেরিয়ে দেশটিতে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা এই ক্লাবের অন্যতম লক্ষ্য৷
ভ্রাতৃত্ব গড়া
৪২ বছর বয়সি ইরাকের সরকারি কর্মকর্তা বিলাল আল-বয়াতি (ছবি) ২০১২ সালে মোটর সাইকেল আরোহীদের একটি ক্লাব গড়ে তোলেন৷ ‘‘আমাদের লক্ষ্য ভাতৃত্ব গড়ে তোলা,’’ রয়টার্সকে সম্প্রতি বলেন তিনি৷ এই ক্লাবের মাধ্যমে শিয়া-সুন্নি দ্বন্দ্বে জর্জরিত ইরাকে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে চান বয়াতি৷
রাজনীতি নিয়ে কথা নয়
ঐক্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রথম যে কাজটি করা হয়েছে সেটি হচ্ছে, ক্লাবের সদস্যরা কেউ রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে পারেন না৷ কেউ সেটা করলে তাঁকে এক-দুইবার নিষেধ করা হয়, তারপর ক্লাব থেকে বের করে দেয়া হয়৷
সব শ্রেণির, বয়সের
‘দ্য ইরাকি বাইকার্স’ নামের ক্লাবটির সদস্য সংখ্যা এখন প্রায় ৩৮০৷ তাঁরা সবাই পুরুষ এবং সব ধর্মের (শিয়া, সুন্নি, খ্রিষ্টান, কুর্দি, তুর্কমেন), বয়সের, পেশার ও সামাজিক শ্রেণির প্রতিনিধি তাঁরা৷ ‘‘এটা একটা ক্ষুদ্র ইরাক,’’ বলেন ক্লাবের ৩৬ বছর বয়সি সদস্য আহমেদ হায়দার, যিনি একটি আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থায় কাজ করেন৷
ভাবমূর্তি গড়া
ক্লাবের আরেকটি উদ্দেশ্য বাইকারদের ভাবমূর্তি উন্নত করা৷ এ লক্ষ্যে ক্লাবের সদস্যরা পুরো দেশ ঘুরে বেড়িয়েছেন৷ ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর বিরুদ্ধে লড়াইরত আহত যোদ্ধাদের রক্ত দিয়ে সহায়তা করেছেন তাঁরা৷
বিশেষ রূপ
বাইকারদের প্রিয় ব্র্যান্ড ‘হার্লে ডেভিডসন’৷ কিন্তু সহজলভ্য না হওয়া এবং ব্যয়বহুল হওয়ায় মার্কিন এই মোটর সাইকেল নির্মাতার তৈরি বাইক চালানো সব ইরাকির পক্ষে সম্ভব হয় না৷ তবে স্থানীয় কারিগররা সাধারণ একটি মোটর সাইকেলকে বিশেষ মোটর সাইকেলে রূপান্তরিত করে থাকেন৷ সেগুলো চালিয়েই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর চেষ্টা করেন অনেক ইরাকি৷
সঙ্গে ইরাকি পতাকা
ক্লাবের সদস্যরা যখন রাস্তা দিয়ে বাইক চালিয়ে যান, তখন তাঁদের অনেকের মোটর সাইকেলে ইরাকের পতাকা বাঁধা থাকে৷ বাইকার ক্লাব গঠনের ধারণাটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে পেলেও বয়াতি তাঁর ক্লাবের মাধ্যমে নিজ দেশ ইরাককেই সবসময় তুলে ধরতে চান৷