1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানে পরমাণু পরিদর্শক দ

২৯ জানুয়ারি ২০১২

ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি থেকে ফেরাতে বহুমুখী চাপের কথা ভাবছে পশ্চিমা গোষ্ঠী৷ ইতিমধ্যে ইরানের তেল রপ্তানির উপর বেশ কয়েক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে৷ এবার ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি পরিদর্শনে ইরান সফর করছেন আইএইএ প্রতিন

https://p.dw.com/p/13sdv
REFILE - CORRECTING TYPO - Herman Nackaerts (L), head of a delegation of the International Atomic Energy Agency (IAEA), talks to journalists on his way to Iran at the international airport in Vienna January 28, 2012. REUTERS/Herwig Prammer (AUSTRIA - Tags: POLITICS)
প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আইএইএ-র প্রধান পরিদর্শক হ্যারম্যান নাকায়ের্টসছবি: Reuters

সম্প্রতি ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে বাধ্য করতে কয়েক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পশ্চিমা গোষ্ঠী৷ এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রেক্ষিতে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সমঝোতা আলোচনা পুনরায় শুরু করার সম্ভাবনাও বেশ কমে এসেছে৷ উল্টো এসব নিষেধাজ্ঞার সমুচিত জবাব দেওয়ার উদ্যোগ ও হুমকি এসেছে তেহরান থেকে৷ তবে এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যেই আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা আইএইএ-র একটি প্রতিনিধি দল রবিবার ইরান সফর শুরু করেছে৷

তিন দিনের এই সফরে প্রতিনিধি দলটি কোম নগরীর কাছে অবস্থিত ইরানের অন্যতম গোপনীয় ও সুরক্ষিত পারমাণবিক স্থাপনাও ঘুরে দেখবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে পাহাড় ঘেরা অঞ্চলে অবস্থিত এই স্থাপনাটি৷ যাতে করে সম্ভাব্য বিমান হামলা থেকে এটিকে সুরক্ষিত রাখা যায়৷ আর চলতি মাসের শুরুতেই ইরানি কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, তারা এই স্থাপনাটিতে পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ শুরু করেছে৷ তাই এই স্থাপনাটির কার্যক্রম নিয়ে পশ্চিমা গোষ্ঠীর কৌতুহল ও শঙ্কা সবচেয়ে বেশি৷

প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আইএইএ-র প্রধান পরিদর্শক হ্যারম্যান নাকায়ের্টস৷ এছাড়া দলে রয়েছেন দুই জন শীর্ষ অস্ত্র বিশেষজ্ঞ৷ একজন হলেন ফরাসি বিজ্ঞানী জ্যাকস বঁতে এবং অপরজন দক্ষিণ আফ্রিকার নেভিলে হোয়াইটিং৷ সফর শুরুর প্রাক্কালে ভিয়েনায় নাকায়ের্টস বলেছেন, ‘‘ইরান তাদের পরমাণু কর্মসূচির সম্ভাব্য সামরিক দিকসমূহ খতিয়ে দেখতে আমাদের সহযোগিতা করবে বলে আমরা আশা করছি৷ আমরা একটি সমঝোতা আলোচনা শুরু করতে চাই যেটি আরো আগেই হওয়া উচিত ছিল৷''

তবে আইএইএ প্রতিনিধি দলের প্রতি সতর্ক সংকেত ছুঁড়ে দিয়েছেন ইরানি সংসদের স্পিকার আলি লারিজানি৷ তিনি জাতিসংঘের এই সংস্থাটির প্রতিনিধিদের সফরকে একটি ‘পরীক্ষা' হিসেবে উল্লেখ করেন৷ রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা আইআরআইবি জানিয়েছে, লারিজানি বলেছেন, ‘‘আইএইএ কর্মকর্তারা যদি যথাযথ পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করেন, তাহলে এর মাধ্যমে নতুন করে সহযোগিতার পথ উন্মুক্ত হতে পারে৷ অন্যথা তাঁরা যদি কোন পক্ষের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হয়, তাহলে ইরান সংস্থাটির সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন পন্থা অবলম্বনে বাধ্য হবে৷''

এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ইরানের তেল রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্তের পর তেহরান ইউরোপে তেল রপ্তানি বন্ধের কথা ভাবছে৷ এমনকি এ সংক্রান্ত একটি বিল সংসদে আলোচনার জন্য শীঘ্রই তোলা হবে বলে খবর পাওয়া গেছে৷ তবে এমন উস্কানিমূলক পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার জন্য ইরানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে৷ ‘ভেল্ট আম জনটাগ' পত্রিকা'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভেস্টারভেলে বলেছেন, ‘‘ইরানি নেতাদের এটা বোঝা উচিত যে তাদের হাতেই রয়েছে উত্তেজনা প্রশমনের মূল চাবি৷''

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য