1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইরানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইংরেজি শিক্ষা ‘নিষিদ্ধ'

৮ জানুয়ারি ২০১৮

এক সপ্তাহের বিক্ষোভের ঘটনার পরপরই এই নিষিদ্ধের ঘোষণাটি এলো, যে বিক্ষোভের জন্য ‘পশ্চিমা ইন্ধনকেই' দুষছে ইরান৷ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ইংরেজি শিক্ষাকে পশ্চিমা বিশ্বের ‘সাংস্কৃতিক আগ্রাসন' বলে উল্লেখ করেছেন৷

https://p.dw.com/p/2qVHb
Iran Schule
ছবি: hormoz

রোববার দেশটির শিক্ষা বিষয়ক একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাক্ষাৎকারে ইংরেজি শিক্ষা নিষিদ্ধের বিষয়টি জানান৷

রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম আইআরআইবি-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে হাই এডুকেশন কাউন্সিলের কর্মকর্তা মেহদি নাভিদ-আদহাম বলেন, ইংরেজি শিক্ষা সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ছাড়া আর কিছু নয়৷

‘‘এর কারণ, ইংরেজি থাকলেপ্রাথমিক শিক্ষায় ইরানের সংস্কৃতি চাপা পড়ে যায়৷ তাই সরকারি ও বেসরকারি স্কুল দু'টোর জন্যই প্রাথমিক পর্যায়ে ইংরেজি নিষিদ্ধ,'' রয়টার্সকে বলছিলেন মেহদি৷

ইরানের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা নতুন নয়৷ তাদের সরকারিভাবে তৈরি করা পাঠ্যসূচিতে সপ্তম গ্রেড পর্যন্ত ইংরেজি শিক্ষা নেই৷

কিন্তু বেসরকারিভাবে কোনো কোনো স্কুল বা ডে কেয়ার সেন্টার বাচ্চাদের ইংরেজি শেখাতো৷ ২০১৬ সালে বিষয়টি জানাজানি হবার পর দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন৷

মেহদির মতো তিনিও বলেছিলেন যে, এটি ‘পশ্চিমা সাংস্কৃতিক আগ্রাসন'৷

নতুন ঘোষণাটি আসার পর তা বেসরকারি স্কুলগুলোকেও মানতে হবে৷

গেল সপ্তাহজুড়ে ইরানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হয়৷ সেই বিক্ষোভের জন্য পশ্চিমা বিশ্বকে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রকে ইন্ধন যোগানোর জন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে ইরান৷

সরকারির পাশাপাশি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইংরেজি নিষিদ্ধের বিষয়টি সেই ঘটনার জেরেই একটি ‘পাল্টা জবাব' কিনা তা অনেকেরই প্রশ্ন৷

এলিজাবেথ শুমাখার/জেডএ

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য